কিন্তু রাজনৌতিক মহলে প্রশ্ন প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া আঁচ করেই তো মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করা হয়েছিল। আর যাঁকে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই বাসবারাজ বোম্মাই বলছেন, “এই হারের দায় মোদির নয়। তিনি তো শুধু কর্ণাটকে ভোটের প্রচারে এসেছিলেন। তিনি গোটা দেশের নেতা। কংগ্রেস নেতৃত্ব কি এমন দাবি করছে যে তারা কর্ণাটকে ভোটে জিতে দেশে ফের ক্ষমতায় আসার পরিস্থিতিতে চলে এসেছে?”
advertisement
আরও পড়ুন New CEO of Twitter: কমছে বিপুল বিজ্ঞাপনের আয়, দায়িত্ব ছেড়ে ট্যুইটারে নতুন সিইও নিয়োগ এলন মাস্কের
২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগেই আরও কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন। তার পরে লোকসভা ভোট। তাই কর্ণাটক ভোটের ফল নিয়ে সতর্ক অবস্থানে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক সি টি রবি। কর্ণাটকে ভোটে পরাজিত হয়েছেন। তাঁরও বক্তব্য, ‘‘ওই হারের দায় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নয়। দায় রাজ্য নেতৃত্বের।’’
দলের একটা বড় অংশের দাবি, হারের জন্য মূলত দায়ী করা হচ্ছে বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বে চলা রাজ্য সরকারের পদক্ষেপকে। বছর দু’য়েক আগে প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়ার গন্ধ পেয়েই ইয়েদুরিয়াপ্পাকে সরিয়ে বোম্মাইকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। পরাজয়ের পরে সেই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী বদলের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। কিন্তু বি এস ইয়েদুরাপ্পার পরিবর্তে যাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় সেই বাসবরাজ বোম্মাই ওই পদের যোগ্য ছিলেন না। তাঁদের দাবি, মূলত বোম্মাইয়ের প্রশাসন চালানোর সমস্যার কারণে দুর্নীতি বাড়বাড়ন্ত হয়। যার জেরে কর্ণাটকে গত আটত্রিশ বছরের বিধানসভা ভোটের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আরও একবার নির্বাচনে রাজ্যে ক্ষমতার হাতবদল হল। ১৯৮৫ সালের পর থেকে ক্ষমতায় থাকা দল কখনওই দ্বিতীয় বার ফিলে আসেনি। এবারও তার পুনরাবৃত্তি হল।