দেখতে দেখতে দু দুটো দফা পার করে তৃতীয় দফায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার চলছে রাজ্যে। বিধানসভার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অতীতে বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সূর্যকান্ত মিশ্রের নেতৃত্বে বামফ্রন্টকে ও আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে কংগ্রেসকে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দেখেছে এই বিধানসভা। সে সময়েও, বিধানসভায় এই মনীষীদের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে বাম, কংগ্রেস নেতৃত্বকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
advertisement
কিন্তু, ছবিটা বদলে গেল ২০২১ সালে এসে। পরিষদীয় রাজনীতিতে শূন্য হয়ে গিয়ে বিধানসভায় বিরোধীর ভূমিকায় এখন বিজেপি। আর, শাসক দলের সঙ্গে রাজনৈতিক সংঘাতের জেরে বিধানসভায় সরকারি অনুষ্ঠান কার্যত ''বয়কট " করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল বিজেপি। বাদ গেল না বিধানসভায় মনীষীদের জন্মদিন পালনের সরকারি অনুষ্ঠানও। শমীক ভট্টাচার্য বা দিলীপ ঘোষরা বিজেপি-র সদস্য থাকাকালীনও এই অবস্থান ছিল না বিজেপি-র।
আরও পড়ুন: দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনা বেশি, মহারাষ্ট্রের পটবদলের পরই কারণ জানিয়ে দিলেন মমতা
আজ বিধানসভায় রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন উদযাপনের সরকারি অনুষ্ঠানও বিজেপি এই'' চলতি হাওয়ার " বাইরে যেতে পারল না। সরকারি অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়া নিয়েই আজ বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন স্পীকার বিমান বন্দোপাধ্যায়। অধ্যক্ষ বলেন, 'অতীতে বাম, কংগ্রেসের বিরোধীদলে থাকার সময়েও এই জিনিস দেখিনি। তাদের সঙ্গেও আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য ছিল। বিধানসভায় তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু, মনীষীদের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে তারা এসেছেন।'
রাজনৈতিক মহলের মতে, অধ্যক্ষ কৌশলে মনীষীদের জন্মদিন নিয়েও বিজেপির রাজনীতি করাকেই কটাক্ষ করেছেন। যার জবাবে, বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, 'অধ্যক্ষ আসলে বিশেষ চশমা পরে বিজেপিকে দেখেন। তাই এই গোলমাল। সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে শ্রদ্ধা না জানালে, শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয় না, এটা ঠিক নয়। বিজেপি মনীষীদের শ্রদ্ধা জানাতে জানে' পর্যবেক্ষক্ষকদের মতে, দূর্ভাগ্যের কথা এটাই, তৃণমূল - বিজেপি-র রাজনৈতিক তরজা থেকে শেষমেশ বাদ পড়লেন না বিধানচন্দ্রও।