প্রসঙ্গত, জাতীয় কর্মসমিতির এই তালিকায় রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতিরা প্রত্যেকেই। প্রথমেই নাম রয়েছে ছত্তিশগড়ের রমন সিং-এর। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, এই তালিকায় জাতীয় সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন), জাতীয় সম্পাদকদেরও স্থান দেওয়া হয়েছে। সেই সূত্রেই এ রাজ্যে থেকে নাম রয়েছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, অমিত মালব্যদের। জাতীয় সম্পাদক হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রয়েছেন অনুপম হাজরা। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী কিংবা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরাও স্থান পেয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: এক চিঠিতেই বাড়ল চাপ, কুণাল ঘোষের লিখিত বয়ানে ত্রিপুরা পুলিশের অন্দরে আলোড়ন
তবে, সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নাম নিয়ে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর বিধানসভা ভোটেও হেরে যান রাজীব। তারপর থেকেই তাঁর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা চলছে। বিজেপি নেতার একাধিক মন্তব্য, ট্যুইট সেই পালে আরও হাওয়া লাগিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় কর্মসমিতিতে তাঁকে বিজেপির আমন্ত্রিত সদস্য করা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। তবে, বঙ্গ ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পরও বাংলার পর্যবেক্ষক পদে থাকছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিত মালব্য এবং অরবিন্দ মেনন। এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বিজেপির অন্দরে। এছাড়াও বাংলা থেকে থাকছেন তৃণমূলত্যাগী দীনেশ ত্রিবেদী, ভারতী ঘোষ, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত এবং নব্য বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। এছাড়া রাজীব, অশোক লাহিড়ির মতো আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রয়েছে সাংসদ জয়ন্ত রায়, সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, এবং মাফুজা খাতুনের নামও। অপরদিকে, কমিটিতে রয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলীমনোহর যোশীর মতো নেতার নামও।