আরও পড়ুন: যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে শেষ রোগী, হাসপাতালে রিলস দেখতে ব্যস্ত ডাক্তার! দেখুন ভিডিও…
এখন বিপ্লব প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, তিনি পশ্চিম ত্রিপুরার সাংসদও। সেই বিপ্লব সম্পর্কে এ বার প্রকাশ্যে বিবৃতি দিলেন স্ত্রী নীতিই। বুধবার সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘দেবজি বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছেন।’’ সমাজমাধ্যমে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন নীতি। যার ছত্রে ছত্রে রয়েছে ২৪ বছরের ‘সম্পর্ক ভাঙার যন্ত্রণা’র কথা। নীতি লিখেছেন, ”আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আমি। কিন্তু আর কিছুই করার নেই।”
advertisement
সামাজিক মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদের দাবি নীতির। ছবি- সমাজ মাধ্যম
আরও পড়ুন: বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি কাঁপাবে…! ৭ রাজ্যে মেঘ-বৃষ্টি-দুর্যোগ, অশনি সঙ্কেত বাংলাতেও?
এক পুত্র, এক কন্যা রয়েছে এই দম্পতির। এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক, অন্য জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। সন্তানদের কথা উল্লেখ করে নীতি লিখেছেন, ‘‘কোনও মা কখনওই এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চায় না। যখন তার সন্তানদের সেরাটা পাওয়ার কথা।’’
এ নিয়ে বিপ্লবের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আগরতলা এবং দিল্লির আপ্তসহায়কেরাও কোনও জবাব দেননি। তবে নীতির বিবৃতি নিয়ে বিজেপি তো বটেই, ত্রিপুরার রাজনীতিও আলোড়িত হতে শুরু করেছে।
বিপ্লব ত্রিপুরার ভূমিপুত্র হলেও তাঁর জীবনের একটা বড় সময় কেটেছে দিল্লিতে। রাজধানী শহরে জিম ট্রেনারের কাজও করতেন তিনি। সেখানেই নীতির সঙ্গে তাঁর পরিচয়। প্রণয়। পরে বিবাহ। সেই সময়েই বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার শুরু। পরে একাধিক বিজেপি সাংসদের আপ্তসহায়কের দায়িত্বও সামলেছেন। সেই বিপ্লবকেই ২০১৬ সালে ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি করে পাঠিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। ২০১৮ সালে তাঁর নেতৃত্বেই দীর্ঘ বাম সরকারের পতন ঘটায় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী করা হয় তাঁকে। কিন্তু প্রথম পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিপ্লব। তার পর তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠায় বিজেপি। ২০২৪ সালের লোকসভায় তাঁকে টিকিটও দিয়েছিল পদ্মশিবির। তিনি জিতে সাংসদও হয়েছেন।
বিপ্লব আপাতত দিল্লির ভোটের কাজে ব্যস্ত। ঠিক সেই সময়েই সমাজমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানালেন স্ত্রী নীতি।