গত ১৩ ডিসেম্বর লোকসভায় ঢুকে পড়ে স্মোক ক্যান থেকে ধোঁয়া ছড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায় দুই যুবক৷ এই ঘটনায় সংসদের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়৷ ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করতে গিয়ে সংসদ থেকে সাসপেন্ড হন প্রায় দেড়শো জন বিরোধীপক্ষের সাংসদ৷ কার্যত বিরোধীশূন্য সংসদেই পাস হয়ে যায় আইপিসি এবং সিআরপিসি-র পরিবর্তে নিয়ে আসা নতুন ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত তিন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল৷
advertisement
কেন্দ্রীয় সরকারের এই মনোভাবের সমালোচনা করে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকার ও বিরোধী পক্ষ উভয়কে নিয়েই বিধানসভা। খালি লোকসভার মতো, মুলতুবি করে অধিবেশন শেষ করে দেওয়ার মতো ঘটনা যেন না হয়। সবাই সুষ্ঠু ভাবে বিধানসভার অধিবেশন করুন।
আরও পড়ুন: সময়সীমা দিলেন চাকরিপ্রার্থীরা, আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীরও! নতুন বছরেই কাটবে নিয়োগ জট?
সাংসদের সাসপেন্ড করার ঘটনারও নিন্দা করেছেন বিমানবাবু৷ তিনি বলেন, সাংসদদের এভাবে সাসপেন্ড করা, মনে করি সঠিক হয়নি। অন্যায় কাজ হয়েছে বলে আমি মনে করি। গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করাতে বিরোধীদের থাকা উচিত। এটা এমন বিষয় নয়, যে দেশের পরিকাঠামো নষ্ট হয়ে যেত। উচিত ছিল ত্রুটিগুলো দেখা। প্রয়োজনে পরের অধিবেশনে আনতে পারত। আমি আইনজীবী হিসাবে অনেক দিন তর্জমা করি। নাম পাল্টে দিলেই চরিত্র বদলে যায় না
রাজ্য বিধানসভায় বিরোধীপক্ষের বিধায়কদের উদ্দেশ্যেও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করিনা ওয়াক আউট কোনও জাস্টিফিকেশন (বিধানসভা)। বহু প্রশ্ন, বিল বিধানসভায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে আলোচনা হওয়া জরুরি।’
সংসদে হামলার ঘটনার পর রাজ্য বিধানসভার নিরাপত্তাও বেড়েছে৷ সেই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, ‘লোকসভার ঘটনার পরে আমাদের নিরাপত্তা বাড়ানো হল। এই নিরাপত্তা যাতে বজায় থাকে, তা শাসক-বিরোধী উভয়কেই বজায় রাখতে হবে।’