সূত্রের খবর, বহু রোগীই ইতিমধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন৷ চিকিৎসকেরাও বিরক্ত৷ জানা গিয়েছে, হাসপাতালের ওয়ার্ডে রোগীর বিছানার নীচে সাপেদের বসে থাকা, এই হাসপাতালের প্রায় নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে এখন সাপধরা ডাকতে হয়েছে চিকিৎসকদের৷
আরও পড়ুন: প্রেমের সম্পর্কের এমন পরিণতি! ঝাড়গ্রামে যুবকের দেহ কী অবস্থায় উদ্ধার হল জানেন?
হাসপাতালে এসেছে স্নেক ক্যাচার। নাম ইকবাল। ইকবাল এখনও পর্যন্ত এই হাসপাতাল থেকে ৮৭৪টি সাপ ও ১৫০টিরও বেশি গোসাপ ধরেছেন। পরে সেগুলি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরিত করে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইকবাল বলেন, ‘‘এই হাসপাতাল সাপের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এই হাসপাতাল চত্বরে ইঁদুর, বিষাক্ত প্রাণী, পোকামাকড় ইত্যাদি প্রচুর রয়েছে। সেগুলোর জন্য হাসাপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর প্রাণহানি হলেও, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।’’
advertisement
ইকবাল বলেন, ‘‘হাসপাতালের ড্রেনের চেম্বার ও নেট খোলা পড়ে রয়েছে। যে জন্য, সেখান থেকেই হাসপাতালের ভিতরে ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ছে সাপ-গোসাপ৷ আর হাসপাতাল চত্বর তো এত অপরিষ্কার যে, ভুড়ি ভুঁড়ি ইঁদুর জন্মায়৷ আর এই ইঁদুরগুলো খেতেই ওয়ার্ডে এসে বসে থাকে সাপেরা।’’ ইকবাল জানান, গত শনিবারও ওয়ার্ডে একটি সাপ বেরিয়েছিল।
লেবার রুম থেকে শিশু ওয়ার্ড, সবই সাপের ক্যাম্প
আগে শিশু হাসপাতাল ও লেবার রুমে পুরনো রেকর্ড ও মোড়ানো কাগজের মধ্যে সাপ ধরা পড়ত। পুরো হাসপাতালে চেম্বার খোলা রয়েছে। খোলা চেম্বারের পাইপ দিয়ে সাপ ওয়ার্ডে প্রবেশ করে। হাসপাতাল চত্বরে ওয়ার্ডের পিছনে ময়লার স্তূপ। সেখানে পোকামাকড়, ঝোপঝাড় আর ইঁদুরের উপদ্রব। হাসপাতালে আবর্জনা ও ময়লা-আবর্জনার কারণে ইঁদুরের সংখ্যা এত বেশি যে রাতে মানুষের আনাগোনা কম হলে ইঁদুরের আনাগোনা বেড়ে যায়। অভিযোগ, এসব জেনেও সাপ তাড়ানো ও পিবিএম হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার রাখার দিকে নজর দিচ্ছে না প্রশাসন।
পিবিএম হাসপাতালে গত বছর হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কারের চুক্তি হয়েছিল কোটি টাকায়। তা সত্ত্বেও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, বিষাক্ত প্রাণীর উপস্থিতি, পচা শৌচাগারের সমস্যা সইতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের।