ভাঙনের প্রভাব মারাত্মক৷ গত তিন দিনে নদী তীরবর্তী গ্রামে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বাড়িঘর গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে৷ এমন পরিস্থিতিতেও প্রশাসন কার্যত উদাস৷ প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিদের কাউকেই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় দেখা যায়নি বলে খবর৷
advertisement
একটি লাইভ ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, মাত্র ২৬ সেকেন্ডের মধ্যে তাসের ঘরের মতো একটি কংক্রিটের ঘর কীভাবে গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। ব্যাপারটা শুধু একটি বাড়ি কেন্দ্রিক নয়৷ এলাকার শত শত মানুষ আপাতত ঘর বাঁচাতে ব্যস্ত। কিন্তু, নদী ভাঙন প্রক্রিয়ার সামনে তারা কার্যত অসহায়। অনেক ক্ষেত্রে রুদ্র রূপের গঙ্গা গ্রামবাসীদের বাড়িঘর থেকে জিনিসপত্র সরানোর সুযোগও দিচ্ছে না৷ অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থেকে বাড়ি ঘর ভেসে যাওয়া দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারছেন না তাঁরা৷
আরও পড়ুন : এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাবে ছাড়পত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, শীতকালীন অধিবেশনেই বিল পেশ?
জেলা প্রশাসন গঙ্গার ভাঙন রোধে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল৷ কিন্তু সেগুলি কাজে আসেনি৷ পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়ছে৷ কথা ছিল এই এলাকায় একটি বাঁধ তৈরি করা হবে৷ তা আর এগোয়নি৷ এর ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে৷
ভাঙনের এই মর্মান্তিক ঘটনা গ্রামবাসীর জীবনকে বিপর্যস্ত করেছে। প্রতিদিনই মানুষ দেখছে তাদের পাকা ঘরগুলো ভেঙ্গে পড়ছে, কিন্তু তাঁদের সাহায্যের জন্য প্রশাসনের তরফে কোনও ভূমিকাই নেওয়া হচ্ছে না৷