পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন অবিনাশ ঝা। মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ মধুবনীর স্থানীয় বাজারে তাঁকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে কাজ করার পাশাপাশি সমাজকর্মীও ছিলেন তিনি। সমাজের নানা বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করতেন তিনি। সম্প্রতি ফেসবুকে এলাকার ভুয়ো মেডিক্যাল ক্লিনিক নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। তাঁর পোস্ট রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। ওই সাংবাদিকের ঘনিষ্ঠ মহলের অভিযোগ, ওই পোস্টের পর থেকেই তাঁর কাছে বিপুল টাকার অফার যেমন আসছিল, তেমনই হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে।
advertisement
সেই অবিনাশ মঙ্গলবার রাত থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। বুধবার সারাদিন খোঁজাখুঁজির পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার। পুলিশ তদন্তে নেমে ওই সাংবাদিকের ফোনের শেষ টাওয়ার লোকেশন দেখে পাশের গ্রাম বেতুনে গিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে প্রথমে কোনও সূত্র পায়নি তাঁরা। এরপরই শুক্রবার ওই সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যের কাছে একটি ফোন আসে। তাতে জানানো হয়, বেতুনে জাতীয় সড়কের উপর দগ্ধ একটি দেহ পড়ে রয়েছে। সেই দেহের সঙ্গে থাকা আংটি ও গলার চেন দেখে অবিনাশের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা অক্ষত রাখতে গোয়া সরকারের এক প্রকল্প, তৃণমূলের হাতে উঠে এল 'বড় অস্ত্র'
আরও পড়ুন: ভোটের আগে যোগ দেওয়ার অফার ছিল BJP-র, দিত পদ্মশ্রীও! বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
প্রসঙ্গত, গত অগস্ট মাসেই বিহারের মাথলোহার গাড্ডি তলা এলাকা থেকে সাংবাদিক মনীশ কুমার সিংয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তিনি একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক ছিলেন। মনীশের বাবা সঞ্জয় কুমার সিং বিহারের একটি হিন্দি সংবাদপত্রের একজন নামী সম্পাদক। পুলিশ সূত্রে খবর, মনীশের দুই চোখ নষ্ট করে দিয়েছে হত্যাকারীরা। এই হত্যার পেছনে বড়সড় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন মনীশের বাবা সঞ্জয় সিং। ছেলেকে হত্যার দায়ে ১২ জন সন্দেহভাজনে বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। যার মধ্যে ছিলেন মনীষার সঙ্গে থাকা দুই সাংবাদিক অমরেন্দ্র ও আসলাজ আলম। তাঁদের দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়।