ভোট আসে যায়। তবে এমন লড়াই সাম্প্রতিক কালে আর কখনও দেখা যায়নি। সকাল আটটা থেকে শুরু। রাত ১১ টা পেরিয়েও চলল ভোটগণনা। ততক্ষণে অবশ্য স্পষ্ট হয়েছে, ১২২ আসনের ম্যাজিক ফিগার পার করে বিহারে ফের সরকার গড়ছে এনডিএ। ডাবল ইঞ্জিন সরকারকে ভোট দিন। ভোট প্রচারে বারবার আবেদন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
সেই ডাবল ইঞ্জিন সরকারের উপরই ভরসা রাখলেন বিহারবাসী। হিন্দি বলয়ে সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী থাকার রেকর্ড গড়ার পথে নীতীশ কুমার। যদিও নীতীশ বা এনডিএ - এবারের জয় খুব সহজ হয়নি। একেবারে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে টক্কর। ভোট পর্ব শুরুর পরই তেজস্বী যাদবের উপর বাজি ধরছিলেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। প্রথম বড় পরীক্ষাতেই নীতীশ কুমার - নরেন্দ্র মোদি -- দুই হেভিওয়েটকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললেন তেজস্বী। একক বৃহত্তম দল হিসাবে উত্থান আরজেডির ৷ ৭৫ আসনে জয় আরজেডির ৷
advertisement
ভাবা হয়েছিল, লড়াইটা মূলত হবে আরজেডি বনাম জেডিইউ। ফলাফল কিন্তু বলছে, এনডিএ-কে বৈতরণী পার করানোর পিছনে বিজেপি।
- ১৯.৩% ভোট পেয়েছে বিজেপি
- ১৫.৪% ভোট জেডিইউয়ের দখলে
ভোটের প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক মহল বলছে, শহর, আধা শহর অঞ্চলে ভোট বাড়িয়েছে বিজেপি। গ্রামাঞ্চলেও অটুট গেরুয়া শিবিরের ভোটব্যাঙ্ক। ভোটপ্রচারে বারবার এই ভোটারদেরই বার্তা দিতে চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদিরা। বিহার জয়ের পর মোদির ট্যুইট, ‘‘বিহার আত্মনির্ভর হয়ে পথ দেখাবে। বিহারের তরুণ প্রজন্ম এনডিএ-র উপর ভরসা করেছেন। বিহারে ১৫ বছর ধরে এনডিএ সরকারের সুশাসন। এর জেরেই ফের ক্ষমতায় এনডিএ সরকার ৷’’
নরেন্দ্র মোদির ভোট সেনাপতি অমিত শাহের ট্যুইট, ‘‘ফের জাতিবাদের বিরুদ্ধে রায় দিলেন বিহারবাসী। উন্নয়নের জন্য ভোট দিয়েছে বিহার। বিহারে ডাবল ইঞ্জিনের জয়। এই ফলাফল বিকাশ, বিশ্বাস ও উন্নয়নের জয় ৷’’
ভোটগণনার শেষ পর্বে কারচুপির অভিযোগও তোলে আরজেডি। ভোটগণনায় অস্বাভাবিক দেরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহাজোট শিবির। যদিও নির্বাচন কমিশনের দাবি, করোনা আবহে ভোট গণনায় যতটা সময় লাগার লেগেছে।
বিহারে ফের ক্ষমতায় এনডিএ। তবে এবারের ইনিংস গতবারের থেকে আলাদা। অনেক বেশি শক্তপোক্ত হয়ে শুরু করছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি কী নীতীশের উপর চাপ বাড়াবে? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল।