পটনা: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের ফলাফল প্রকাশ শুরু হতেই একের পর এক চমক। বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, এবার ফের একবার বিজেপি-জেডিইউ-এলজেপি জোট ক্ষমতায় ফিরতে পারে সেই রাজ্যে। তবে সমীকরণ তছনছ করে কী আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাজোট পারবে ক্ষমতা দখল করতে? পোস্টাল ব্যালটের গণনায় ইঙ্গিত মিলছে, সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটের হিসাব অনুসারে, এনডিএ এগিয়ে রয়েছে ১৪৯ টি আসনে। বিরোধীদের ‘মহাগঠবন্ধন’ এগিয়ে আছে ৭৬ আসনে। সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হয়েছে। শুরুতে পোস্টাল ব্যালটের গণনা হয়েছে। তাতে প্রাথমিক আভাস মিলছে এনডিএ এগিয়ে রয়েছে।
advertisement
তবে, বামেরা গত বারের মতোই নিজেদের গড়ে বেশ কিছু সিট যে ধরে রাখতে চলেছে, তা প্রাথমিক ট্রেন্ডেই স্পষ্ট। বামেরা এগিয়ে আছে মোট ৯টি আসনে। তার মধ্যে সিপিআইএমএল এগিয়ে ৭ আসনে, সিপিআই এগিয়ে ১ আসনে আর সিপিআইএম এগিয়ে ১ আসনে।
প্রথমবার ভোটের ময়দানে নেমেছেন প্রশান্ত কিশোর। ঝড় তুলেছিলেন প্রচারেও। সবার আগে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে চমকে দিয়েছিলেন সমালোচকদের। কিন্তু বিহারের রাজনীতিতে যে সেই ভাবে দাগ কাটতে পারেননি, তা বোঝা গিয়েছিল বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই। তাঁর দল বড়জোর ৫টি আসনে জিততে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আপাতত ৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে জন সুরজ পার্টি।
তারাপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি নেতা তথা বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী। অপর বিদায়ী উপমুখমন্ত্রী বিজয় কুমার সিংহও এগিয়ে রয়েছেন লখীসরায় থেকে। এগিয়ে আছেন বিজেপি প্রার্থী মৈথিলী ঠাকুরও।
প্রচারের সময়ে গুলি চলেছিল মোকামায়। মৃত্যু হয়েছিল জন সুরাজ পার্টিক সমর্থন দুলারচাঁদ যাদবের। সেই মোকামা আসনে এগিয়ে জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং। ওই কেন্দ্রের আরজেডি প্রার্থী বীণা দেবী (অনন্ত সিংয়ের ‘বাহুবলী’ প্রতিদ্বন্দ্বী সুরজভান সিংয়ের স্ত্রী) অনেকটাই পিছিয়ে।
দল ও পরিবার থেকে বহিষ্কারের পরে নতুন দল গড়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদবের বড়ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব। জনশক্তি জনতা দল নিয়ে ভোটের ময়দানে জোর প্রচারও করেছিলেন। নিজে দাঁড়িয়েছিলেন মহুয়া কেন্দ্র থেকে। লড়াইয়ে আপাতত এগিয়ে আছেন তিনি। এগিয়ে আছেন মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবও।
