বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী HAM(S) প্রধান জিতন রাম মাজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা LJP(RV) প্রধান চিরাগ পাসোয়ান এবং RLM প্রধান উপেন্দ্র কুশওয়াহা৷
advertisement
গত মঙ্গলবার ‘বিহার কি তেজস্বী প্রণ’ নাম দিয়ে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছিল রাহুল-তেজস্বীর মহাগঠবন্ধন জোট৷ নির্বাচনী ইস্তেহারে তো বটেই, ভোট প্রচারে গিয়েও ক্ষমতায় আসার ২০ দিনের মধ্যে বিহারের প্রতিটা পরিবার থেকে একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তেজস্বী৷
বিহারের মতো রাজ্য, যেখান থেকে রুজির টানে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা এত বেশি, সেখানে দুই পক্ষই যে ভোট টানতে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতিকে মূল অস্ত্র বানিয়েছে, তা এক প্রকার স্পষ্ট৷ এছাড়াও, বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে মহিলাদের জন্য করা সরকারি প্রকল্পের উপরে৷
যেমন মহাগঠবন্ধন জোটের ‘সংকল্প পত্র ২০২৫’-এ মহিলাদের জন্য ২৫০০ হাজার টাকা এবং প্রতিটি পরিবারকে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে৷
তেমনই, এনডিএ-র ‘সংকল্প পত্রে’ আলাদা করে জোর দেওয়া হয়েছে মহিলাদের প্রকল্পের উপরে৷ ক্ষমতায় এলে ১ কোটি ‘লখপতি দিদি’ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ ইচ্ছুক মহিলাদের ছোট ব্যবসা দাঁড় করাতে সরকারি সাহায্য প্রদানের কথা বলা হয়েছে ইস্তেহারে৷ নাম ‘মিশন ক্রোড়পতি’৷
এছাড়াও, বিহারের জন্য থাকছে ৪টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ৭টা এক্সপ্রেসওয়ে করার প্রতিশ্রুতিও৷ শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যেও দেওয়া হয়েছে জোর৷
ক্ষমতায় এলে বিহারের প্রতিটি যুবককে দক্ষতা-ভিত্তিক কর্মসংস্থান প্রদানের জন্য একটি সুমারি পরিচালনা করার কথা বলা হয়েছে এনডিএ-র ইস্তেহার পত্রে৷ স্কিল হাব তৈরি, বাণিজ্য কেন্দ্র ও সাংস্কৃতি পর্যটন শিল্পের উপরে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এনডিএ-র ইস্তেহারে৷

