তথ্য অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে রামপুর হরি থানার পুলিশ মাল টোলি গ্রাম থেকে ৬৫ লিটার দেশি মদ-সহ একটি বিলাসবহুল গাড়ি আটক করেছিল। বিধি অনুযায়ী, জব্দকৃত মদ মালখানায় জমা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু মদের সঙ্গে ধৃত গাড়িটি থানার চত্বরে রাখা ছিল।
আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ার পর এবার ইন্ডিগো, টেক অফের পরই বিপত্তি! শ্বাস আটকে গেল ১৭২ যাত্রীর, তারপর…
advertisement
আশ্চর্যের বিষয় হল, থানার ভেতরেই সেই গাড়িটি হঠাৎ করে গায়েব হয়ে যায়। পুলিশ কর্মীদের এই গাড়ি চুরি হওয়ার বিষয়টি তখনই নজরে আসে, যখন তারা দেখতে পান যে গাড়িটি আর তার নির্ধারিত জায়গায় নেই।
এসএসপি কড়া অবস্থানে, তদন্ত কমিটি গঠন এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই মুজফ্ফরপুরের এসএসপি সুশীল কুমার কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন। তিনি এটিকে পুলিশের চরম গাফিলতি বলে উল্লেখ করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এসএসপি এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করেছেন। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি— তদন্তে যে পুলিশ সদস্য দোষী প্রমাণিত হবেন, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসএসপি বলেন, “এটি একটি গুরুতর ঘটনা এবং একে কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।”
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর! আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পরেই হোস্টেল থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাফ ছাত্রদের, দেখুন ভিডিও…
পুলিশি কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন একটি থানার ভেতর থেকে গাড়ি চুরি হওয়া পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তোলে। যদি থানাতেই জব্দ গাড়ি সুরক্ষিত না থাকে, তবে সাধারণ মানুষের সম্পত্তির নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত— তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। এই ঘটনা ফের প্রমাণ করে দেয় যে পুলিশ কর্মীরা তাঁদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কতটা গাফিলতিপূর্ণ। বর্তমানে পুলিশ জব্দ বিলাসবহুল গাড়িটির খোঁজে তৎপর এবং তদন্ত কমিটিও দ্রুত গতিতে কাজ করছে, যাতে শীঘ্রই এই রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। পাশাপাশি এই ঘটনাটি আবারও বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও বেড়ে চলা অবৈধ মদ ব্যবসা ও সংশ্লিষ্ট অপরাধের বাস্তব চিত্রকে সামনে এনে দিয়েছে।