গত ১২ জানুয়ারি, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এর নেতৃত্বাধীন, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি অভয় এস. ওকা, বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি জে.কে.-এর পাঁচ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চ ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় বিশদ যুক্তি শোনার পর ক্ষতিগ্রস্তদের অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য কিউরেটিভ পিটিশনের শুনানি করেন এবং রায় সংরক্ষণ করেন। উল্লেখ্য কেন্দ্র তার কিউরেটিভ পিটিশনে ইউনিয়ন কার্বাইড এবং অন্যান্য সংস্থাগুলির কাছে ৪৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (১৯৮৯ সালে নিষ্পত্তির সময় ৭১৫ কোটি টাকা) পরিবর্তে ৭,৪০০কোটি টাকা অতিরিক্ত অর্থের জন্য নির্দেশ দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য।
advertisement
ইউনিয়ন কার্বাইড কর্পোরেশনের হয়ে সিনিয়র আইনজীবী হরিশ সালভে , বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, অভয় এস ওকা, বিক্রম নাথ এবং জে.কে. মহেশ্বরীর বেঞ্চের সামনে বলেন, ইউনিয়ন কার্বাইড কর্পোরেশনের অধিগ্রাহক সংস্থাগুলি সুপ্রিম কোর্টকে বলেছিল যে ভারত সরকার মীমাংসার সময় কখনই বলেনি যে সেই অর্থ তখন অপর্যাপ্ত ছিল।
আরও পড়ুন - Malda News: প্রতিবেশীর কুপ্রস্তাবে না গৃহবধূর, চরম রাগে বাড়িতেই আক্রমণ, ক্ষতি হল বিস্তর
শুনানির সময়, সালভে মামলার সাথে যুক্ত বেশ কয়েকটি ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন যে, একটি তত্ত্বে দাবি করা হয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী সমঝোতার আগে প্যারিসের একটি হোটেলে ইউসিসির চেয়ারপারসন ওয়ারেন অ্যান্ডারসনের সাথে দেখা করেছিলেন এবং অ্যান্ডারসন ততক্ষণে তার পদ থেকে অবসর নিয়েছেন।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৯৮৪ সালের ২ ডিসেম্বর গভীর রাতে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ইউনিয়ন কার্বাইড নামে একটি কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক হয়ে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ঘুমের মধ্যেই মারা যান ওই কারখানার আশপাশের বহু বাসিন্দা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ছিল ৫,২৯৫। যদিও বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। এবার সেই মামলারই রায়দান করতে চলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
RAJIB CHAKRABORTY