এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, ভোপাল পুলিশ গুণ্ডাদের নতুন করে প্রোফাইলিং শুরু করেছে। অপরাধীদের তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হচ্ছে—A, B এবং C ক্যাটাগরি। এতে করে সক্রিয় গুণ্ডা, কম সক্রিয় গুণ্ডা এবং অবসরপ্রাপ্ত গুণ্ডাদের চিহ্নিত করা সহজ হবে।
advertisement
ভোপাল পুলিশ কমিশনার হরিনারায়ণ চাড়ি মিশ্র জানিয়েছেন, শহরের পুরনো এবং নিষ্ক্রিয় অপরাধীদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে নতুন অপরাধীদের তালিকাভুক্ত করে নজরে রাখা যাবে।
পুলিশের মতে, বহু বছর আগে সক্রিয় থাকা গুণ্ডারা এখন বয়সের ভারে ক্লান্ত। যেমন একজন আছেন—রঈস পেজার। তাঁর নামই বোঝায় যে তিনি পেজার যুগের গুণ্ডা। এখন তাঁর নামে আর কোনও অভিযোগ নেই, ফলে তাঁকে ‘অবসর’ দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফ্লাইওভারে গাড়িতে হঠাৎ আগুন! দরজা খুলে বেরোনোর আগেই ঝলসে গেলেন ড্রাইভার…
তেমনই আরেকজন হলেন পাপ্পু ব্যাটারি। শোনা যায়, পুরোনো হলেও তার দাপট কখনও বন্ধ হয়নি। এখন তিনি আবার তালিকায় উঠে এসেছেন তাঁর সাম্প্রতিক কার্যকলাপের জন্য। তাই তার প্রতি স্পেশাল নজর দেওয়া হবে।
এই ‘গুণ্ডা অবসর প্রকল্প’-টি এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। জানা গেছে, এই উদ্যোগটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু করা হয়েছে। পুলিশ আধিকারিক সালিম খান জানান, পুলিশ নিয়মিতভাবে এই ধরনের তালিকা আপডেট করে।
এখানেই শেষ নয়, পুলিশ এখন অপরাধীর নামের সঙ্গে QR কোড যুক্ত করার কথাও ভাবছে যাতে দ্রুত স্ক্যান করে তাদের অপরাধের ইতিহাস জানা যায়।