তৃতীয় অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধের ২০১ বছর পূর্তি হচ্ছে আজ৷ গত ২০০ বছর ধরে প্রতি বছর ১ জানুয়ারি এই দিনটি পালিত হয় মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁও গ্রামে৷ ৮৩৪ জনের শক্তিশালী ইংরেজ বাহিনী পেশওয়া বাজিরাও দ্বিতীয়ের ২৮ হাজার সেনাকে পরাজিত করেছিল৷ ব্রিটিশ দলে বেশির ভাগই ছিলেন মারাঠা দলিত মহের সম্প্রদায়ের মানুষ৷ ওই জয়কে পরবর্তীকালে দলিত-জয় হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ব্রিটিশ শাসকরা৷ তথাকথিত উচ্চবর্ণের বিরুদ্ধে দলিত বাহিনীর জয়৷
advertisement
ফলে এই যুদ্ধের বছরপূর্তিতে বরাবরই একটি যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়৷ গত বছর ভীমা-কোরেগাঁও বছরপূর্তিতে যোগ দিয়েছিলেন ৩ লক্ষ মানুষ৷ অচিরেই ওই জমায়েত হিংসায় পরিণত হয়৷ খুন, হিংসায় গোটা মহারাষ্ট্র স্তব্ধ হয়ে যায়৷ এই ঘটনাতেই পরে কয়েকজন সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ, যা নিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হয় গোটা দেশ৷ পুলিশের বক্তব্য ছিল, সমাজকর্মীর নামে এঁরা সবাই শহুরে মাওবাদী৷ এঁরাই হিংসায় উস্কানি দিচ্ছে৷
এ বার যাতে কোনও হিংসা না-হয়, মুম্বই পুলিশ গত সপ্তাহে ভীমা সেনার প্রেসিডেন্ট চন্দ্রশেখর আজাদ ও আরও কয়েক জন নেতাকে আটক করেছে৷ এ ছাড়াও মালাড, ঘাটকোপার, কান্দিভালি, দাদার, ওরলি-সহ বেশ কিছু এলাকা থেকে প্রায় ৩৫০ জন সমাজকর্মীকে আটক করেছে মুম্বই পুলিশ৷
মানালির একটি হোটেলে চন্দ্রশেখর আজাদকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে৷ ওই হোটেলেই গৃহবন্দি রাখা হয়েছে ভীমা সেনার আরও কয়েকজন নেতাকে৷ গোটা মহারাষ্ট্র জুড়ে পুলিশে ছয়লাপ৷