রাজস্থানের ভিলওয়াড়া শহরের এক যুবক তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন যোগের জন্য। ভিলওয়াড়া শহরের আরসি ব্যাস কলোনির বাসিন্দা উমাশঙ্কর শর্মা বয়স ৩০ বছর। কিন্তু বহু বয়স্ক মানুষকেও যোগ শেখান। এঁদের মধ্যে ৬০-৭০ বছরের প্রবীণরাও রয়েছেন।
উমাশঙ্করের জীবনে সব থেকে ব্যস্ত সময় কেটেছে করোনাকালে। সেই সময় তিনি পিপিই কিট পরে, আইসোলেশন ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের সেবা করেছেন। প্রবল শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পেতে যোগব্যায়াম শিখিয়েছেন তাঁদের।
advertisement
আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কের এই হোটেলে থাকছেন মোদি, এক রাতের ভাড়া কত জানেন? শুনলে ভিড়মি খাবেন..
উমাশঙ্কর শর্মা, আদতে জয়পুরের বাসিন্দা, কর্মসূত্রে থাকেন ভিলওয়াড়ায়। গত প্রায় ২৫ বছর ধরে যোগব্যায়াম করছেন তিনি। গত সাত বছর ভিলওয়াড়ায় বিনামূল্যে যোগ শেখান।
ভোর সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হয় যোগ অনুশীলন। আসেন শহরের সব শ্রেণির মানুষ। তবে সব থেকে বেশি আসেন ৪০ থেকে ৭০ বছর বয়সী মানুষেরা। উমাশঙ্কর বলেন, ‘‘আমাদের ক্যাম্পে প্রতিদিন প্রায় ৫০ জন যোগব্যায়াম করেন। ছুটির দিনে এই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ১০০-তে। আজকাল প্রায় সব মানুষেরই কোনও না কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে, বেশিরভাগই জীবনচর্যাগত অসুখ। তাই যোগ অনেকটা সাহায্য করে তাঁদের।’’
আরও পড়ুন: ‘পদত্যাগ করছেন?’, উত্তরে কী বললেন রাজীব সিনহা? রাজ্যপালের পদক্ষেপের পরেই তুমুল জল্পনা
উমাশঙ্কর জানান, এমন অনেক রোগ যোগের দ্বারা নিরাময় সম্ভব যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দ্বারাও হয় তো পুরোপুরি সম্ভব নয়। এমন অনেক রোগ রয়েছে যা চিকিৎসাবিজ্ঞান নিরাময় করতে পারেনি কিন্তু নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে তার নিরাময় করা যায়। এমন অনেক রোগীই রয়েছে তাঁর শিষ্য।
উমাশঙ্কর কোভিড ১৯ অতিমারীর সময় সকলকে যোগব্যায়াম করতে বলেছিলেন বার বার, যাতে তাঁদের মন শান্ত থাকে। তিনি জানিয়েছেন, ওই ভয়ঙ্কর সময় তিনি দেখেছেন নিয়মিত যোগাভ্যাস করে কোনও রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের শরীরে বেড়েছে অক্সিজেনের মাত্রাও।
এই বিষয়ে গবেষণাও করেছেন উমাশঙ্কর। তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকার হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।