জানা যায়, লকডাউনের আগে তাঁদের জীবন আর আর পাঁচটা সাধারণ দম্পতির মতোই একদম ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু আচমকাই একটা অতিমারী পালটে দেয় তাঁদের জীবনের ছবিটাকে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এক বিপিও অফিস ক্যান্টিনে একে অপরের সঙ্গে দেখা হয় এবং শীঘ্রই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এর দুই বছর পরে, ২০১৯ সালে বিয়ে করেন এই যুগল এবং শহরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। চোখে তখন অনেক স্বপ্ন, একসঙ্গে অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি।
advertisement
কিন্তু গত বছর করোনাভাইরাস তথা লকডাউনের কারণে মহিলার স্বামী চাকরি হারান এবং অন্য কাজ খুঁজতে শুরু করেন। কয়েক মাস পরে, মহিলাটি বুঝতে পারেন যে তাঁর স্বামী তাঁর কাছ থেকে কিছু লুকোচ্ছেন। এছাড়াও বহুক্ষণ ফোন ল্যাপটপে সময় দিচ্ছেন। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় যেতেন মহিলার স্বামী এবং সে সম্পর্কে স্ত্রীকে কিছুই জানাতেন না। এর পরেই মহিলার সন্দেহ হওয়ায় ভাইয়ের সাহায্যে তিনি স্বামীর ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করেন এবং ল্যাপটপে দেখতে পান তাঁর স্বামীর সঙ্গে অন্য মহিলাদের আপত্তিকর সব ছবি। যদিও প্রথমে অস্বীকার করেন তিনি। পরবর্তীতে অবশ্য সব খুলে বলেন স্ত্রীকে যে লকডাউনে কাজ হারিয়ে তিনি একজন যৌনকর্মী হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন এবং তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা চার্জও নেন একেকজনের কাছ থেকে। এছাড়া শহরে তাঁর অনেক ক্লায়েন্ট রয়েছে।
এর পর ওই যুবতী মহিলা পুলিশের নির্দিষ্ট হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন এবং সমস্ত ঘটনা জানান। সেখান থেকে তাঁদের স্বামী, স্ত্রী দু'জনকেই ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে সব খুলে বলেন তাঁরা। ওই যুবক বলেন কেন তিনি এই কাজকে বেছেছেন। পাশাপাশি এখন তাঁর এই কাজ যথেষ্ট ভাল লাগছে বলেও জানান। তবে এটাও জানান যে তিনি স্ত্রীকেও ভালবাসেন এবং তাঁর সঙ্গে থাকতে চান। কিন্তু মহিলাটি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন। ফলে যুবকটি বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে সায় দেন। অবশেষে দু'জনের সম্মতি নিয়ে মামলা শুরু হয়েছে।