পুলিশ সূত্রে খবর, সূচনা শেঠ তাঁর চার বছরের সন্তানকে খুন করেন। তারপর বাচ্চার দেহ ব্যাগে ভরে কর্নাটকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে,অভিযুক্ত মহিলা নর্থ গোয়ার ক্যান্ডোলিমে সোমবার সকালে পৌঁছে যান। জানা যায়, ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে রক্তের দাগ দেখে ,সন্দেহ হয় হাউস কিপারের। সেখান থেকেই গোয়া পুলিশের কাছে খবর যায়।
advertisement
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত মহিলা গোয়ার সোল ব্যানিয়ান গ্র্যান্ড হোটেলের ৪০৪ নম্বর ঘরে ছিলেন। হোটেসে তিনি তাঁর চার বছরের সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই প্রবেশ করেছিলেন। জানা যায়, হোটেলের স্টাফদের অভিযুক্ত সূচনা ট্যাক্সি করে কীভাবে কর্নাটক যাওয়া যায়, তার খবর জানতে চায়। হোটেলের কর্মীরা তাঁকে এতদূর প্লেনে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও তিনি বারবার একটি ট্যাক্সি ব্যবস্থা করে দিতে বলেন। অভিযুক্ত হোটেলে ঘর ভাড়া নেওয়ার সময় বেঙ্গালুরুর একটি ঠিকানা দিয়েছিলেন।
পরে তিনি হোটেল ছাড়ার সময় তাঁর সন্তান তাঁর সঙ্গে ছিল না। হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরায় তার প্রমাণও কয়েছে। পরে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হওয়ার গোয়ার কালিঙ্গটে থানার পুলিশ ওই ট্যাক্সি চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্যাক্সি থামিয়ে দেয়। পরে মহিলার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় বাচ্চাটির মৃতদেহ।
কালিঙ্গট থানার ইনস্পেক্টর পরেশ নায়েক জানান, তিনি যখন মহিলাকে জিজ্ঞাস করেন তাঁর ছেলে কোথায়, উত্তরে তিনি জানান, তাঁর সন্তানকে তিনি এক বন্ধুর বাড়িতে রেখে এসেছেন। ওই বন্ধুর যে ঠিকানা দেওয়া তা ভুয়ো বলেই পরে প্রমাণিত হয়। তখনই ইনস্পেক্টর পরেশ নায়েক ট্যাক্সি ড্রাইভারকে পার্শ্ববর্তী পুলিশ স্টেশনে যেতে নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা একটি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংক্রান্ত স্টার্ট আপ সংস্থার সিইও।