মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ইয়াগাপাগলের স্ত্রী গৌরাবাই (৪২), তাঁদের ১৬ বছর বয়সি ছেলে জ্ঞান এবং ১২ বছরের মেয়ে দীক্ষার৷ এ ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে ইয়াগাপাগলের শ্যালিকা বিজয়লক্ষ্মী (৩৬) এবং তাঁর ৬ বছরের কন্যার৷ বিশালাকারের কন্টেনার ট্রাকটির সঙ্গে সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায় ভলভো সংস্থার ওই গাড়িটি৷
আরও পড়ুন: দেশ ছেড়েছেন, এবার ইউনূসকে আইনি চিঠি ধরালেন বাংলাদেশের ধনকুবের! সঙ্গে বিরাট হুঁশিয়ারি
advertisement
এই দুর্ঘটনার পরই দেশের পথ নিরাপত্তার ফাঁক নিয়ে সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছেন বহু মানুষ৷ প্রশ্ন উঠছে, দামি এবং নিরাপদ গাড়িতে চড়লে এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার পরও কি ভারতে দুর্ঘটনার হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে না?
যে কন্টেনার ট্রাকটি ডিভাইডার টপকে ওই গাড়িটিকে ধাক্কা মারে, সেটির চালক স্বীকার করেছেন, সামনে একটি গাড়ি আচমকা দাঁড়িয়ে পড়ায় বাধ্য হয়ে ব্রেক কষেন তিনি৷ কিন্তু তাতেও ট্রাক না থামায় সামনের গাড়িটিকে বাঁচাতে ডান দিকে স্টিয়ারিং কাটান তিনি৷ তখনই কন্টেনার ট্রাকটি ডিভাইডার টপকে উল্টো দিকের রাস্তায় চলে যায়৷ এর পর প্রথমে একটি দুধের গাড়িকে ধাক্কা মারার পর সেটির পিছনে থাকা ওই ভলভো গাড়িটিকে সজোরে ধাক্কা মারে বিশাল ওই কন্টেনার ট্রাকটি৷
জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু থেকে মহারাষ্ট্রের সাংগলিতে যাচ্ছিল বেসরকারি সংস্থার ওই শীর্ষকর্তার পরিবার৷ এই দুর্ঘটনায় ট্রাক চালকও আহত হন৷ তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ গত ২১ ডিসেম্বর সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে৷
এই দুর্ঘটনার পর বহু মানুষই ভারতের সড়ক পরিকাঠামো নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন৷ এক্স হ্যান্ডেলে একজন লিখেছেন, দু পাশের রাস্তার মাঝখানে যদি ক্র্যাশ ব্যারিয়ার থাকত, তাহলে ওই ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েও উল্টো দিকের রাস্তায় চলে যেত না৷ এর পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর দেখে বিচলিত হয়ে বহু মানুষ কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িকে পথ নিরাপত্তার বিষয়টির উপরে আরও জোর দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন৷ দুর্ঘটনা রোধে আরও কঠোর আইন আনার পক্ষেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে সওয়াল করেছেন অনেকে৷