গবেষণা পত্রে বাঙালি বিজ্ঞানী দেখিয়েছেন যে মঙ্গল গ্রহের থেকে ছবি তোলা পাথরের যে বিন্যাস ওই সমসাময়িক পাথর পৃথিবীতেও রয়েছে যার বিন্যাস কার্যত একই। মূলত এই পাথরগুলি পৃথিবীর উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকেই সংগ্রহ করা। করোনা পরিস্থিতির সময় থেকে শুরু হয় এই গবেষণা। মূলত নাসা এর আগে মঙ্গল গ্রহে সমুদ্রের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করলেও পরে নাসা সেই তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এ কী হাল জ্যোতিপ্রিয়র…! প্রেসিডেন্সি জেলে রাত বাড়তেই যা করলেন মন্ত্রী, তাজ্জব সবাই
জার্মান ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি অফ ওমান-এর ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক রজত মজুমদার গবেষণা করে দেখিয়েছেন মঙ্গল গ্রহে সমুদ্রের অস্তিত্ব অস্বীকার করা যায় না। মঙ্গল গ্রহ থেকে ৩৬০০ থেকে ৩৮০০ মিলিয়ন বছর পুরনো পাথরের নাসার তোলা বিভিন্ন ছবির বিভিন্ন স্তর পর্যালোচনা করে এই অস্থিত্বের সন্ধান পাওয়া সম্ভব বলেই গবেষণা পত্রে উল্লেখ। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অধ্যাপক রজত মজুমদার বলেন “এই গবেষণার তখনই সফলতা সম্ভব যখন মঙ্গল গ্রহ থেকে এই পাথরগুলি নিয়ে এসে বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করা সম্ভব হবে।
তবে বিভিন্ন সময় নাসার যে পাথরের ছবিগুলি তুলেছে তা থেকে সমুদ্রের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা যায় না।” জীবনের উৎপত্তি কোন পরিবেশে হয়েছিল তা নিয়ে দ্বিমত আছে। এটা একটা বিতর্কিত বিষয়। তবে বাঙালি বিজ্ঞানীর দাবি এই গবেষণা তখনই সাফল্য পাবে যখন মঙ্গল গ্রহ থেকে সেই পাথরগুলি এনে বিভিন্ন স্তরে আরও নিখুঁত পর্যালোচনা করা যায়। তবে এই গবেষণা অন্তত মঙ্গল গ্রহে প্রাণের সন্ধান আছে নাকি তার তথ্য প্রমাণে আরও একধাপ বিজ্ঞানকে এগিয়ে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিজ্ঞান বলে, পৃথিবী ও মঙ্গলের সৃষ্টি একই সময়ে। মঙ্গল গ্রহে সমুদ্র আছে নাকি লেক আছে সেটা নিয়ে মতভেদ আছে নাসার অন্দরেই। এই পরিস্থিতিতে বাঙালি বিজ্ঞানীর এই গবেষণা তত্ত্ব পথ দেখাবে গোটা বিশ্বের বিজ্ঞান মহলকে পথ দেখাতে পারে বলেই মনে করছে একাংশ। তবে এই গবেষণাপত্র ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি পাওয়ায় নাসার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ভূতত্ত্ববিদ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীরা এই গবেষণাপত্র নিয়েও আগ্রহ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন বলেই দাবি ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক রজত মজুমদারের। তবে মঙ্গল গ্রহে সমুদ্রের সন্ধান অস্বীকার না করার তত্ত্ব কার্যত কোথাও মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজ এর পক্ষেই সায় দেয়।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
