বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য, ছাত্র সংসদের নামে কয়েকজনের উদ্য়োগে এই তথ্যচিত্র দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে থেকে কোনওভাবে তার কোনও প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বিবিসি-র তথ্যচিত্র নিয়ে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, ভারতে 'ব্লক' করা হল যাবতীয় ট্যুইট, ভিডিও-র লিঙ্ক
এ দিকে, বিবিসি-র তথ্যচিত্রের বিরোধিতা করে তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিল অল ইন্ডিয়া বার অ্যাসোসিয়েশন। বিবিসি-র তথ্যচিত্রে গুজরাত হিংসার নেপথ্যে নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করার মধ্যে চক্রান্ত দেখছেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা। তাঁদের দাবি, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে এর প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করা হোক।
advertisement
নরেন্দ্র মোদি এবং গুজরাত হিংসা নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক অব্যাহত। নরেন্দ্র মোদিকেই দলের আগামীর মুখ হিসেবে নির্বাচিত করার দু' দিনের মধ্যে এই তথ্যচিত্র প্রকাশ্যে আসায় প্রবল অস্বস্তিতে বিজেপি। গত বৃহস্পতিবার বিবিসি-র এই তথ্যচিত্র খারিজ করেছে বিদেশমন্ত্রক। তথ্যচিত্রটিকে অপপ্রচার এবং ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টধারী দেশের তালিকা, প্রথম স্থানে কোন দেশ? ভারত কত নম্বরে, জানুন
২০২১-এর তথ্যচিত্র আইন অনুযায়ী ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সচিব অপূর্ব চন্দ্র। তথ্যচিত্র নিয়ে করা ৫০টির বেশি টুইটও ব্লক করা হয়েছে। সেই তালিকায় ছিল তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের ট্যুইটও। তথ্যচিত্রের লিঙ্ক শেয়ার করায় তাঁর ট্যুইট ব্লক করা হয়েছিল।
বিবিসি-র তথ্যচিত্রের সমালোচনা করে ইতিমধ্যেই খোলা চিঠি লিখেছেন প্রাক্তন আমলারা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন হাইকমিশনার বিনা সিক্রি, ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়। এ দিকে আসরে নেমেছেন প্রাক্তন কূটনীতিকরাও।
ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, "দুই অংশের এই তথ্যচিত্র প্রমাণ করে দেয়, এটি পক্ষপাতদুষ্ট, এবং ব্রিটিশ সরকার নয় বেসরকারি টাকায় তৈরি করা। এই তথ্যচিত্র নির্মাণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো।