বাঁশুরি স্বরাজ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষণকাণ্ডকে কার্যত সার্টিফিকেট দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, নারীদের রাতে বাইরে বেরোনো উচিত নয়। এ ধরনের মন্তব্য শুধু ভুক্তভোগীকে দোষারোপ করা নয়, বরং নারী স্বাধীনতার উপরে স্পষ্ট আঘাত।”
তিনি আরও তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এখন পশ্চাৎগামী মানসিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গে নারী নিরাপত্তা আজ প্রশ্নের মুখে, আর মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান এই পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে।”
advertisement
বিজেপি নেত্রী অভিযোগ করেন, “যখন একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে অন্য এক মহিলাকে দোষারোপ করেন, তখন তা সমাজে ভুল বার্তা দেয়। দোষ অপরাধীর, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায় চাপাচ্ছেন ভুক্তভোগীর উপর।”
তিনি আরও বলেন, “নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসন ব্যর্থ, আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, আর তৃণমূল সরকার শুধুই দায় এড়াতে ব্যস্ত।” দুর্গাপুরের ঘটনায় আগেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রবিবার রাতে চতুর্থজনকে ধরে পুলিশ। আজ, সোমবার আরও একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
গ্রেফতার হওয়া শেষ দু’জনকে আজই দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে খবর। বাকি তিনজনকে আগেই ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সূত্রের খবর, ধৃতদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
পাশাপাশি, অভিযোগকারী তরুণীর এক সহপাঠী বন্ধুকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখা হয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, ওই যুবকের কাছ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে। যদিও দুর্গাপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই বাম ছাত্র সংগঠন থেকে আরম্ভ করে বিজেপি বিধায়ক ও যুব নেতারা বিক্ষোভের শামিল হয়েছেন। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আজ ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে মহিলা নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে, নয়তো বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বিজেপি এমন হুঁশিয়ারি ও দেওয়া হয়েছে বিজেপি রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের তরফে। তবে আগামী দিনে বিজেপি এই ইস্যুকে সামনে রেখে কতখানি আন্দোলনকে ঝাঁঝালো করতে পারে, সেটা দেখার।