এটিএমে কার্ড ঢোকালেও টাকা মিলছে না। বেরিয়ে আসছে চিনের কোনও এটিএমের স্লিপ। টাকা খোয়া যাচ্ছে গ্রাহকের। নজিরবিহীন এই জালিয়াতির মুখে পড়ে বিভ্রান্ত আইসিআইসিআই, এইচডিএফসি, এফবিআই, অ্যাক্সিস ও ইয়েস ব্যাঙ্কের মতো নামজাদা ব্যাঙ্ক। প্রযুক্তি বিশারদরা জানাচ্ছেন,এটিএম সুইচ ও মেন সার্ভারের সুরক্ষায় ফাঁক থাকার সুযোগ নিয়েছে হ্যাকাররা।
-পয়েন্ট অফ সেলের মাধ্যমে বিভিন্ন এটিএমে নগদ লেনদেন চলে
advertisement
-মূলত ৩টি সুইচিং সিস্টেমের মাধ্যমে কাজ করে পয়েন্ট অফ সেল
-এটিএম পিনকে ডি-কোড করে পয়েন্ট অফ সেল
-পিন ডিকোড হলে ডেবিট কার্ড দিয়ে টাকা তোলা যায়
ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড বিভাগের দায়িত্ব অন্য সংস্থার হাতে দিয়ে রেখেছে বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক। মাস্টার কার্ড, ভিসা ও রুপে কার্ডের ক্ষেত্রেই জালিয়াতির ঘটনা বেশি। ৬টি ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ড ঘিরে জালিয়াতির অভিযোগে আঙুল উঠছে এক বহুজাতিক পেমেন্ট সার্ভিস সংস্থার দিকে।উপদেষ্টা সংস্থা কেপিএমজির ব্যাঙ্কিং সিকিউরিটি বিভাগের দাবি,বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকেই এটিএম সার্ভার হ্যাক করা যায়। তাই চিনা ভাষায় স্লিপ বেরলেও চিন থেকেই ডেবিট কার্ড হ্যাক হচ্ছে, এমন কথা বলা যায় না
কীভাবে জালিয়াতি
-পেমেন্ট সার্ভিস সংস্থার সিস্টেম হ্যাক করে তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে হ্যাকাররা
-যখনই টাকা তুলতে পিন দেওয়া হচ্ছে, তা জেনে যাচ্ছে হ্যাকাররা
-সেই পিন ব্যবহার করেই টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে
-টাকা তুলতে ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সুইচ ও সার্ভার
-তাই শুধুই এটিএম থেকে বেরনো স্লিপ হাতে পাচ্ছেন গ্রাহকরা
বেঙ্গালেরুর এক বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে ছটি ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ড লেনদেনের ফরেনসিক অডিটের নির্দেশ দিয়েছে ন্যাশানাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। এধরণের জালিয়াতি রুখতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলিও। তবে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগার কথা।
ততদিন কি হবে? এনপিসিআইয়ের পরামর্শ, নিজস্ব ব্যাঙ্কের এটিএম ছাড়া ডেবিট কার্ডে টাকা না তোলাই ভাল। নিজেদের গ্রাহকদের একই পরামর্শ দিচ্ছে এসবিআই ও এইচডিএফসিও।