প্রয়োজন ছিল ১৬ লক্ষ কোটি টাকা। গত ২৬ দিনে এর ২০ শতাংশও ছাপিয়ে উঠতে পারেনি আরবিআই। কি করে পারবে? সেই পরিকাঠামোই তো দেশের ট্যাঁকশালগুলোতে নেই। নোট বাতিল ঘোষণার দিনে কিন্তু অন্যরকমই আশ্বাস দিয়েছিলেন আরবিআই গভর্নর।
এরকম পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ককর্মীদের সংগঠন (AIBEA) আরবিআই-য়ের কাছে দাবি জানিয়েছে ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার জন্য ৷
সবচেয়ে পুরনো ও বড় ট্রেড ইউনিয়ন AIBEA-র সাধারণ সম্পাদক সি এচ ভেঙ্কটচালাম জানিয়েছেন, ‘যতদিন না নোট সংকট কমছে ও সঠিক মাত্রায় নোট যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে ততদিন বেশকয়েকটি জোনের ব্যাঙ্ক শাখা আপাতত বন্ধ রাখা উচিৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ৷’
advertisement
নোট বাতিলের পর থেকেই সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ৷ বেশ কিছু জায়গায় তাদের হেনস্থাও করা হয়েছে ৷
নোট বাতিলের পর থেকেই নিত্যদিন টাকা তোলার নিয়ম বদল আর নতুন নিয়ম ঘোষণা করে চলেছে মোদি সরকার। ২৩ বার সিদ্ধান্ত বদল। কখনও টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা, আবার কখনও এটিএম ব্যবহার নিয়ে নানাবিধ ফরমান। কখনও টাকার জোগান বাড়াতে নিয়ম বদল। আবার কখনও কালো টাকার কারবারিদের শায়েস্তা করার দাবি করে নতুন নিয়ম। নিয়ম বদলের এই গেরোয় বিভ্রান্তি চরমে উঠেছে। প্রতিদিন গ্রাহকদের নতুন নিয়ম বোঝাতে হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ৷ তবে ব্যাঙ্ক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে যে এই মুহূর্তে তারা কোনও ধর্মঘট ডাকতে চায় না কারণ এতে সমস্যা আরও বাড়বে ৷