TRENDING:

বেআইনিভাবে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলায় উদয়নকে সাহায্যকারী ব্যাঙ্ককর্মীরা পলাতক

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: সিরিয়াল কিলার উদয়ন দাসকে বেআইনিভাবে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলায় সাহায্যকারী ব্যাঙ্ককর্মীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১১ সালে বাবা-মাকে খুন করার পর তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বেআইনিভাবে টাকা তোলায় সাহায্য করেন দিল্লির এক ব্যাঙ্ককর্মী ৷ উদয়নকে পুলিশ গ্রেফতার করার পর থেকেই পলাতক ব্যাঙ্ক অফিসার ৷
advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে উদয়ন বেশ কিছু ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের নাম জানায় ৷ যাদের সাহায্যে সে অবৈধ উপায়ে বাবা, মা ও আকাঙ্ক্ষার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলত ৷

তদন্তে নেমে পুলিশ উদয়নের বয়ান মতো সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও ফেডারেল ব্যাঙ্কে চার ব্যাঙ্ক অফিসারের খোঁজ করে ৷ দুটি ক্ষেত্রেই একই ঘটনা ৷ দুই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষই জানায়, আলাদা আলাদা কারণে ওই চার ব্যাঙ্ক কর্মীই এই মুহূর্তে ছুটিতে আছেন ৷ উদয়নের মামলায় ওই চার ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই তা খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ ৷ ওই চার ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ৷

advertisement

উদয়ন কেসে তদন্তের ভারপ্রাপ্ত এএসপি বিজয় অগ্রবাল জানান, ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের বয়ানের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে ৷ তবে বেআইনি লেনদেনে তারাও ভাগিদার প্রমাণ হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না ৷

উদয়ন দাস নিজেই বাবা-মা ও আকাঙ্ক্ষাকে খুনের কথা কবুল করেছে ৷ তদন্তে উঠে আসে, টাকার জন্যই খুন হতে হয়েছিল উদয়নের বাবা-মাকে। বাবা-মাকে সরিয়ে দেওয়া গেলে কত টাকা পাওয়া যাবে, তা হিসাব করেই খুনের ছক কষে উদয়ন। আকাঙ্খাকে খুনের পিছনেও সেই টাকার লোভ। আকাঙ্খা তাকে ছেড়ে কলকাতায় ফিরে গেলে টাকার জোগান বন্ধ হয়ে যাবে। জোড়া খুনের ঘটনাও সামনে চলে আসবে। এই আশঙ্কা থেকেই আকাঙ্খাকে গলা টিপে খুন করে উদয়ন। ব্যাঙ্কে বড় অঙ্কের টাকা আছে জেনেই তার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতায় উদয়ন।

advertisement

ভালো জামাকাপড়, বিদেশ ঘোরা, কলগার্লদের পিছনে খরচ। এই বিপুল খরচ জোগাড়েই বাবা-মাকে খুনের পরিকল্পনা উদয়নের। বারবার অনুরোধেও বাড়ি থেকে টাকা মিলছিল না। উলটে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার নামে নেওয়া টাকা ফেরৎ চাইছিল বাবা-মা। তখনই বাবা-মাকে খুন করে বাগানে পুঁতে দেওয়ার ছক কষে উদয়ন।

বাবা-মাকে খুন করলে কত টাকা মিলবে? ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-পেনশন ও জমানো টাকা মিলিয়ে কত পাওয়া যাবে তা হিসাব করেই হয় খুনের ছক।

advertisement

বাবা-মায়ের টাকা হাতিয়েই বিদেশ যাওয়া, কলগার্লদের পিছনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ। বাড়ি বিক্রি, এফডি ভাঙে হাতে এসেছিল প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। খরচের চোটে তাতে টান পড়তেই সময় লাগেনি। তখনই নেটে অবস্থাপন্ন তরুণীদের টার্গেট করা শুরু। আমেরিকায় চাকরির টোপ দিয়ে ফাঁসানো হয় আকাঙ্খাকে।

২০১১ সালে বাবা-মাকে খুন করে ব্যাঙ্কে গিয়ে ওই চার ব্যাঙ্ককর্মীর সহায়তাতেই বাবা-মার ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙানো থেকে শুরু করে বাবা ও মায়ের নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলায় সফল হয় ৷ তবে কিসের লোভে উদয়নকে এমন বেআইনি কাজে ব্যাঙ্ক অফিসাররা সাহায্য করতে রাজি হলেন তার উত্তর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মিলবে বলে মত তদন্তকারীদের ৷

advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বাবা ও মার সই নকল করে ৭০ টি চেক ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নেন ৷

আকাঙ্খা খুনের আগেই অবশ্য আকাঙ্খার অ্যাকাউন্টের পাস ওয়ার্ড জানত উদয়ন। তাই খুনের পরেও টাকা তোলায় বাধা ছিল না। তবে অন্য একটি অ্যাকাউন্টে রাখা বড় অঙ্কের টাকার খোঁজ পায়নি উদয়ন। বাঁকুড়ায় এসে আকাঙ্খার বাবা-মায়ের কাছে সে অ্যাকাউন্টের সে ব্যাপারে জানতে চাইবে। এমন পরিকল্পনা করলেও ধরা পড়ার ভয়ে সেই পথে আর হাঁটেনি উদয়ন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

টাকার লোভে একের পর এক খুন করলেও স্বস্তি ছিল না। আকাঙ্খা খুনের পর আবারও টাকায় টান পড়েছিল। জেরায় সেকথাও স্বীকার করেছে ঠান্ডা মাথার এই অপরাধী।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
বেআইনিভাবে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলায় উদয়নকে সাহায্যকারী ব্যাঙ্ককর্মীরা পলাতক
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল