দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন মুজিবর কন্যা হাসিনা৷ কিন্তু, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের জেরে অগাস্টের মাঝামাধি কার্যত দেশ ছেড়ে ভারতে আসতে হয় তাঁকে৷ ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে তাঁর অনুপস্থিতিতেই তাঁর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল৷
advertisement
এদিন সংবাদসংস্থা এনডিটিভি-র তরফে তাঁকে হাসিনার ভারতে থাকা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘কিছু ঘটনার মাঝখানে পড়ে তাঁকে এখানে আসতে হয়৷ সেই কারণেই এখানে থাকা৷ (ভারতে থাকার, বা কতদিন পর্যন্ত ভারতে থাকবেন) সেই সিদ্ধান্ত ওঁকেই নিতে হবে৷’’
তাহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের অবস্থানটা ঠিক কী? এই প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর জানান, ভারত বাংলাদেশের যে কোনও সবসময় বৈধ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পাশে রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘যদি বিষয়টা নির্বাচন হয়, তাহলে স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করাই প্রাথমিক কর্তব্য (সে দেশের বর্তমান নেতৃত্বের)৷’’
বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিরতা এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে বলে জোর দেন জয়শঙ্কর৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেকটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই চায়, গণতান্ত্রিক উপায়ে সাধারণ মানুষের মতামত জানতে৷’’
ভবিষ্যৎ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করে জয়শঙ্কর বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে যা কিছু উদ্ভূত হবে তা ভারতের সাথে সম্পর্কের একটি “সুষম এবং পরিপক্ক দৃষ্টিভঙ্গি” প্রতিফলিত করবে এবং পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
