বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর কথায়, 'এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য৷ কে এই তথ্য ওঁদের (বিজেপি সরকার) দিয়েছে? সম্পূর্ণ ভুল তথ্য৷ আমাদের দেশে অনেক সিদ্ধান্তই অন্যান্য ধর্মের ব্যক্তিত্বরা নেন৷ আমরা কখনওই ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে বিচার করি না৷' মোমেনের বক্তব্য, ভারত ও বাংলাদেশের বর্তমান বন্ধুত্ব সোনালি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে৷ তাঁর কথায়, 'স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের দেশের মানুষ ভারতের কাছ থেকে অনেক প্রত্যাশা করে৷ তাদের আশা, ভারত এমন কিছু করবে না, যা তাঁদের উদ্বিগ্ন করবে৷'
advertisement
আজ থেকে আগামী ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত সফরে আসার কথা ছিল একে আব্দুল মোমেনের। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর আজ বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ নয়াদিল্লিতে নামার কথা ছিল তাঁর।
নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫-এর সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে, সেই সব হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের জেরে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নেন৷ ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ১২ মাস টানা ভারতে থাকতে হত৷ একই সঙ্গে গত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ভারতবাস জরুরি ছিল। সংশোধনী বিলে দ্বিতীয় নিয়মে পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্থান থেকে আনা নির্দিষ্ট ৬টি ধর্মাবলম্বীদের জন্য ১১ বছর সময়কালটিকে নামিয়ে আনা হচ্ছে ৬ বছরে। বেআইনি অভিবাসীরা ভারতের নাগরিক হতে পারে না। এই আইনের আওতায়, যদি পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়া কেউ দেশে প্রবেশ করে থাকেন, বৈধ নথি নিয়ে প্রবেশ করার পর নির্দিষ্ট সময়কালের বেশি এ দেশে বাস করে থাকেন, তা হলে তিনি বিদেশি অবৈধ অভিবাসী বলে গণ্য হবেন।