অনেক চেষ্টার পর কুমিরটিকে উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় কুমিরটিকে বাগে আনতে পারে বন বিভাগের কর্মীরা। পরে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কুমিরটিকে, ছেড়ে দেওয়া হয় মোহিনী বাঁধের জলে।
এলাকার বাসিন্দাদের থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, শিবপুরী জেলার নারওয়ার থেকে তিন কিলোমিটার দূরে মোহনী বাঁধ। সেখানেই কুমির থাকে। বাসিন্দাদের দাবি, মোহিনী বাঁধ থেকেই বেরিয়ে আসে কুমিরটি। তারপর পাশের সুদা গ্রামে ঢুকে পড়ে। প্রায় চার ফুট লম্বা কুমিরটি ডাঙায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। গ্রামে কুমির ঢুকেছে, খবর পেয়েই এলাকার বাসিন্দারা হইচই শুরু করে দেন। তৈরি হয় আতঙ্কের পরিবেশ।
advertisement
আরও পড়ুন: জেরায় হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন অনুব্রত কন্যা! ইডি-কে যা বললেন, তোলপাড় বাংলা
পরে তাঁরাই বিষয়টি বন দফতরকে জানান। এরপর ডেপুটি রেঞ্জার সতীশ মৌর্য, ফরেস্ট গার্ড সুনীল কুশওয়াহা, ফরেস্ট গার্ড কপিল শর্মা, ফরেস্ট গার্ড মিঠুন-সহ বন দফতরের আধিকারিক দল গ্রামে পৌঁছে কুমিরটিকে খুঁজতে করতে শুরু করে। কয়েক ঘণ্টা কসরত করার পর বাগে আসে কুমির। তাকে পাকড়াও করে বন দফতর নিরাপদে মোহিনী বাঁধে ছেড়ে দিয়েছে।
বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, গ্রাম বা জনবহুল এলাকায় কোনও বন্য প্রাণী ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরে খবর দেওয়া দরকার। কোনও ভাবেই ওই প্রাণীকে তাড়া করা যাবে না বা উত্যক্ত করা যাবে না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ফিরহাদের সামনেই বিস্ফোরক জাকির, এ কী বলে ফেললেন! রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে
একমাত্র বন বিভাগের কর্মীরাই বন্যপ্রাণী উদ্ধারের চেষ্টা করতে পারে। যদি কোনও গ্রামবাসী প্রশিক্ষণ ছাড়া বন্য প্রাণী ধরার চেষ্টা করেন, তবে প্রাণীটির ক্ষতি হতে পারে।