সূত্রের খবর, আপাতত একমাস থাকবে এই বাহিনী। তারপর রাজ্য পুলিশেরই অন্য বাহিনী আসবে। এদিন সকালে হেইলি রোড এবং চাণক্যপুরীর বঙ্গভবনে পুলিশকর্মীদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন রেসিডেন্স কমিশনার আর ডি মিনা, অ্যাডিশনাল রেসিডেন্স কমিশনার শাশ্বত দাঁ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নীলাদ্রি সমাদ্দার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলেকে বঙ্গভবন থেকে গ্রেফতার পুলিশ। এমনকি সেখানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা এবং হার্ডডিস্ক নিয়ে গিয়েছে গুজরাট এবং দিল্লি পুলিশের যৌথ বাহিনী। তারপরেই রাজ্য পুলিশকে বঙ্গভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
advertisement
বঙ্গভবনে হানা দেওয়া নিয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে গুজরাত পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে রাজ্য সরকার। যদিও সমস্ত দায় গুজরাত পুলিশের উপর চাপিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাদের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী গুজরাত পুলিশকে সাহায্য করা হয়েছে মাত্র। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ বা অন্যান্য কোনও ব্যাপারে দিল্লি পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই। এবিষয়ে দিল্লিতে নিযুক্ত রেসিডেন্ট কমিশনারের কাছেও রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: ফালাকাটার সেই সাধুই কি আসলে নেতাজি? ২০১৬ সালের ফাইলে প্রকাশ মারাত্মক তথ্য! জানুন
প্রসঙ্গত, গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে দিল্লির চাণক্যপুরীর বঙ্গভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মীদের রীতিমতো ধমকায় পুলিশ। পরে বঙ্গভবন থেকে ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ মুছে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, নিরাপত্তাকর্মীদের ধমকে, কার্যত বলপ্রয়োগ করে সাকেতকে গ্রেফতারের পরে প্রমাণ পুলিশ রাখতে চায়নি।
দিল্লির রাজ্য সরকারি অতিথিশালা বঙ্গভবন থেকে তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই গ্রেফতারির পরে দিল্লি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গুজরাত পুলিশ বঙ্গভবনে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে চলে যায় বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতের সবচেয়ে দূরের এক্সপ্রেস ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছয় সাড়ে ৩ দিনে! অপরটি মাত্র ৮ মিনিটে
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বঙ্গভবন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্পত্তি। অনুমতি ছাড়া কেউ সেখানে গেলে রাজ্য সরকারকেও ব্যবস্থা নেবে। অনুমতি ছাড়াই দিল্লি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গুজরাত পুলিশ বঙ্গভবনে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে গিয়েছে। বঙ্গভবনে অনেক সময় তিনি ছাড়াও রাজ্যপাল, হাইকোর্টের বিচারপতিরা থাকেন বলেও ওই সভা থেকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।