ওড়িশার বালাসোরে ঘটা ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় ২৯৪ জন, আহত হন আরও হাজারখানিক৷ মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার (সিগন্যাল) অরুণ কুমার মোহান্ত, সেকশন ইঞ্জিনিয়ার আমির খান এবং টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
গত ৭ই জুলাই এই তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ পার্ট ২ অনুযায়ী এবং ধারা ৩৪ এবং ২০১ অনুযায়ী সেইসঙ্গে রেলওয়ের আইনের ১৫৩ ধারাতেও অভিযুক্ত করা হয়েছে ওই তিন রেল আধিকারিককে। ওই তিন রেল আধিকারিকই বালেশ্বর জেলায় মোতায়েন ছিলেন৷
advertisement
চার্জশিটে করা সিবিআইয়ের অভিযোগ অনুযায়ী, বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে ৯৪ নম্বর লেভেল ক্রসিংয়ে গেট মেরামত করার দায়িত্বে ছিলেন অরুণ কুমার মোহান্ত৷ এই কাজে তিনি ৭৯ নম্বর লেভেল ক্রসিং গেটের সার্কিট ডায়াগ্রাম ব্যবহার করেছিলেন৷
আরও পড়ুন: ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে মোটেই খুশি নয়? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে ইউজিসি-র প্রতিনিধি দল
সিবিআই আরও জানিয়েছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওভারহলিং এবং সংকেত ব্যবস্থা, ইন্টারলকিং ব্যবস্থাগুলির বদল, অনুমোদিত পরিকল্পনা এবং নির্দেশ অনুযায়ী হয়েছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব ছিল অভিযুক্তদের। সিবিআইয়ের অভিযোগ তাঁরা তা করেননি।
২ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটে এই মারাত্মক দুর্ঘটনা৷ যাত্রীবাহী ট্রেন, করমণ্ডল – শালিমার এক্সপ্রেস, আচমকা লাইনচ্যুত হয়ে যায় এবং একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। অন্যদিকে যশবন্তপুর-হাওড়া সুপারফাস্ট ট্রেনটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় লাইনচ্যুত কোচগুলির।