এ ছাড়াও সাক্ষী মালিক, পুনি ও ভিনেশ ফোগতের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কুস্তিগীরদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ আর তা নিয়েই সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন বজরং পুনিয়া৷ তিনি বললেন, মাত্র কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে কুস্তিগীরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে ভাবল না দিল্লির পুলিশ, এ দিকে অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে দিল্লি পুলিশের সাত দিন লেগে গেল৷ পাশাপাশি তিনি বললেন, যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত একজনকে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে নিয়ে আসা হল, এর থেকে অন্যায়ের কিছু হতে পারে৷
advertisement
রবিবার এই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালীন বিস্তর গোলমাল শুরু হয়৷ অসংখ্য প্রতিবাদীকে আটক করে দিল্লি পুলিশ৷ পরে অবশ্য সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়৷ ছেড়ে দেওয়ার পর পুনিয়াকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, আন্দোলন কর্মসূচি চলবে কি না, তিনি বলেন, ‘বাড়ি ফিরে যাওয়ার কোনও উপায় নেই৷ আমরা আরও অন্য কুস্তিগীরদের সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসব৷ এর পর কী করা যায়, সেই বিষয়টি তখনই নির্ধারিত হবে৷’
রবিবার ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলের ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা৷ রবিবার সাক্ষী, বজরংদের নেতৃত্বে একটি কর্মসূচি ছিল৷ সেই কর্মসূচির আওতায় তাঁরা যখন নতুন সংসদ ভবনের দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চেষ্টা করেন, তখন দিল্লি পুলিশের সঙ্গে তাঁদের প্রথমে বচসা বাঁধে, তার পর জোর করে এদের মিছিল আটকে জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়দের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়৷ নিরাপত্তার বেষ্টনি ভাঙার অভিযোগ করা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে৷