পর্যটকদের মধ্যেও কেরলের নিরামিষাশী কুমিরটিকে নিয়ে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে! কাসারগড় জেলার অনন্তপুরায় ওই মন্দিরে যে-ই যাক না কেন, একবার অন্তত বাবিয়ার দর্শন করতেন। অবাক কাণ্ড, কুমির হয়েও বাবিয়া ওই পুকুরে থাকা একটি মাছকেও কোনওদিন আক্রমণ করেনি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, কুমিরটি নাকি ভগবানের দূত। তাই কুমিরটিকে ভক্তি করতেন স্থানীয়রা, মন্দিরের পুরোহিতদের সঙ্গেও কুমিরটির ভারী বন্ধুত্ব ছিল। শান্ত স্বভাবএর বাবিয়া কোনওদিনই কাউকে আক্রমণ করেনি। তবে, কবে নাগাদ সে মন্দিরের ওই পুকুরে আশ্রয় নিয়েছিল, বা কে তার নামকরণ করে, সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। স্থানীয়দের মতে, ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই মন্দিরে বাস করছিল কুমিরটি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল বাবিয়া।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদব, ভারতীয় রাজনীতিতে আরও একটি যুগের অবসান
জানা যায়, দিনে দু'বার মন্দিরের পুরোতের হাতেই খেত বাবিয়া। তিনি ভাতের গোলা করে বাবিয়ার মুখে ছুঁড়ে দিতেন। তাদের দুজনের সম্পর্ক সত্যিই গাঢ়! পুকুরের একটা মাছও কোনওদিন চেখে দেখেনি বাবিয়া। অবাক কাণ্ড হলেও, ১০০ শতাংশ নিরামিষাশী কুমির ছিল বাবিয়া।