TRENDING:

Kerala Grandmother : ৫০ বছর পর ফের পড়াশোনা, ৬৮ বছরের ঠাকুমা উত্তীর্ণ দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায়, ভর্তি হচ্ছেন কলেজে

Last Updated:

Kerala Grandmother : পড়াশোনা ছেড়েছিলেন ৫০ বছর আগে। তখন তিনি প্রি-ডিগ্রি বা স্নাতক পূর্ববর্তী কোর্সে। এখন তিনি কলা বিষয়ে স্নাতক স্তরে লেখাপড়া করবেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
তিরুঅনন্তপুরম : ইচ্ছে নিখাদ হলে উপায় সুগম হয়। প্রচলিত পুরনো কথা আবার নতুন করে প্রমাণ করলেন কেরলের বি বিজয়কুমারী। ৬৮ বছর বয়সি এই বৃদ্ধা উত্তীর্ণ হলেন দ্বাদশ শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষায় । পড়াশোনা ছেড়েছিলেন ৫০ বছর আগে। তখন তিনি প্রি-ডিগ্রি বা স্নাতক পূর্ববর্তী কোর্সে। এখন তিনি কলা বিষয়ে স্নাতক স্তরে লেখাপড়া করবেন।
এখন তিনি কলা বিষয়ে স্নাতক স্তরে লেখাপড়া করবেন ( ছবি-সামাজিক মাধ্যম)
এখন তিনি কলা বিষয়ে স্নাতক স্তরে লেখাপড়া করবেন ( ছবি-সামাজিক মাধ্যম)
advertisement

আদতে আলাপুপঝার মুথুকুলামের বাসিন্দা বিজয়কুমারী এখন পথনমথিত্তায় থাকেন। জানিয়েছেন তাঁর সবথেকে বড় ভরসার জায়গা হল নিজের পরিবার । পাঁচ দশক পর ফের পড়াশোনা শুরু করার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন নাতি নাতনিরা। তাদের ছাড়া নিজের প্রচেষ্টায় সফল হতে না বলেই মনে করেন এই বৃদ্ধা। এখন তিনি ডিগ্রি পরীক্ষায় খুব ভাল ফল করতে চান। পাশাপাশি, সম্পূর্ণ করতে চান কম্পিউটার কোর্স।

advertisement

বাসুদেবান পিল্লাই এবং ভার্গবী আম্মার সাত সন্তানের মধ্যে সবথেকে ছোট হলেন বিজয়কুমারী। প্রথম থেকেই লেখাপড়া নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহী। সরকারি স্কুল থেকে দশম শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রি ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হন কলেজে। কিন্তু কলেজেরই সহপাঠী মোহন কুরূপের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যাওয়ার ফলে দিতে পারেননি চূড়ান্ত পরীক্ষা।

আরও পড়ুন : ভারতে প্রথম মাঙ্কিপক্সের বলি? আমিরশাহি ফেরত কেরলের যুবকের মৃত্যুতে বাড়ছে রহস্য

advertisement

গত চার বছর ধরে শুশ্রূষার কারণে পুরামাত্তমে সপরিবার রয়েছেন বিজয়কুমারী। তাঁর স্বামীর ড্রাইভিং স্কুল ছিল মুথুকুলামে। পুরামাত্তমে চলে আসার পর নাতি নাতনিদের সঙ্গে কাটানোর মতো বেশ কিছুটা সময় তাঁর হাতে চলে আসে। একদিন তিনি ফের পড়াশোনা শুরুর ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তাঁর নাতি বিবেক প্রকাশ চেঙ্গান্নুর পাবলিক কলেজে প্লাস টু কোর্সের কথা বলেন। সেখানেই তিনি ভর্তি হন কলা বিভাগে ।

advertisement

কোর্সে ভর্তি হওয়ার সময় সব রকম নিয়ম পালনের ক্ষেত্রে ও প্রস্তুতিতে সাহায্য করেছিলেন বিবেক । বলেন "আমি ইংরেজিতে পাঁচটি পরীক্ষা দিই। আমার দ্বিতীয় ভাষা ছিল হিন্দি। অনলাইনে ক্লাস করতাম এবং রোজ মধ্যরাত থেকে কাকভোর পর্যন্ত পড়তাম। "

আরও পড়ুন :  বিরিয়ানির হাঁড়ি ভেসে যায় হায়দরাবাদের জলমগ্ন রাজপথে, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর এই বৃদ্ধা এখন সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মানসিক দৃঢ়তার জন্য তাঁকে সংবর্ধনাও জানানো হয় বহু ক্ষেত্রে। লেখাপড়ার ক্ষেত্রে সকল বাধার বিন্ধ্যাচল দূর করে এখন বৃদ্ধার মুখে হাসি। তাঁর দুই সন্তান অজীশ মোহন এবং অম্বিলি মোহন। অজীশ পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। অম্বিলি সরকারি চাকুরে।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Kerala Grandmother : ৫০ বছর পর ফের পড়াশোনা, ৬৮ বছরের ঠাকুমা উত্তীর্ণ দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায়, ভর্তি হচ্ছেন কলেজে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল