এই ০.৩০৯ একর জমির মধ্যে রয়েছে, মসজিদের বাইরে, ভিতরে ও সীতার রান্নাঘর হিসেবে কথিত ও পরিচিত বেশ খানিকটা অংশ৷ আদালতের রায় অনুযায়ী, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় রাম চবুত্রাও ভাঙা হয়েছিল৷ রায়ের প্রথম প্যারাগ্রাফেই এই ক্ষুদ্র জমি নিয়ে বিচারের কথা বলা হয়েছে৷ ১০৪৫ পাতার রায়ে বলা হয়েছে, 'দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে যে জমিটি নিয়ে বিতর্ক, যা দুই সম্প্রদায়ই দাবি করছে, তাদের জমি, সেই জমির আয়তন অযোধ্যা শহরের মধ্যে ১ হাজার ৫০০ স্কোয়্যার ইয়ার্ড৷'
advertisement
তা হলে কেন ২.৭৭ একর পরিমাণ জমির কথা উঠল? ২.৭৭ একর জমির মধ্যে ০.৩০৯ একর জমি ও তার সংলগ্ন এলাকা রয়েছে৷ পুরোটাই ১৯৯১ সালে উত্তরপ্রদেশে কল্যাণ সিং সরকার উন্নয়ন ও তীর্থযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে অধিগ্রহণ করে৷ এলাহাবাদ হাইকোর্টে এই অধিগ্রহণের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করা হয়৷
অযোধ্যা মামলার সঙ্গে জড়িত অনেক আইনজীবীর বক্তব্য, ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট যখন অযোধ্যা মামলার রায় দেয়, কিছু সংবাদমাধ্যম বিতর্কিত জমির পরিমাণ ২.৭৭ একর জানায়৷ সেটাই প্রচার হয়ে যায়৷ তারপর থেকে ২.৭৭ একর জমিই প্রচারিত হতে থাকে৷
শনিবার সুপ্রিম কোর্ট ০.৩০৯ একর জমি নিয়েই রায় দেয়৷ যেখানে 'রামলালা বিরাজমান' বলে কথিত৷ হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন News18-কে বলেছেন, 'সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, শুধুমাত্র ০.৩০৯ একর বা ১৫০০ স্কোয়্যার ইয়ার্ড নিয়েই রায় দেওয়া হয়েছে৷ ২.৭৭ একর জমি নয়৷'
আরও ভিডিও: রবিবার সকালের অযোধ্যা, দেখুন