(চাংটে, গ্রিফিথ)
এটিকে মোহনবাগান - ২
( মেহতাব - আত্মঘাতী, কার্ল)
#মুম্বই: ডুরান্ডের গ্রুপ লিগে ডেস বাকিংহামের দলের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি এটিকে মোহনবাগান। ফেরান্দোকে প্রশ্ন করা হয় রবিবারের ম্যাচে আপনার পরিকল্পনা কী? স্প্যানিশ কোচের জবাব, ‘গেম প্ল্যান বলা যাবে না। মুম্বইয়ের আক্রমণ গড়ে ওঠে ছাংতে মারফত। গতির বিস্ফোরণই ওর সম্পদ। তাই ছাংতের বিধ্বংসী দৌড় রুখতে হবে। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও আমরা জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে
advertisement
মোহনবাগান মাঝমাঠে ভরসা জোগাতে তৈরি জনি কাউকো এবং হুগো বোমাস। রবিবার সন্ধ্যায় যাকে ভয় পেয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ সেই চাংতেই তিন মিনিটের মাথায় দুরন্ত গোল করে এগিয়ে দিলেন মুম্বাইকে। দূরপাল্লার দেখার মত শটে। তবে এরপর দিমিত্রি, লিস্টন এবং হুগো সহজ সুযোগ না হারালে এগিয়ে যেতে পারত এটিকে মোহনবাগান।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশকে হারিয়ে ড্রেসিংরুমে ক্রিকেটারদের বাবরের বিশেষ টিপস! ভিডিও ভাইরাল করল পিসিবি
মুম্বইয়ের পক্ষে বিপিন ব্যবধান বাড়াতে পারতেন। বিরতির পর দু মিনিটের মধ্যে সমতা ফিরিয়ে আনল এটিকে মোহনবাগান। লিটন, দিমিত্রি হয়ে গোল করে গেলেন জনি। তার বা পায়ের পুশ জড়িয়ে গেল জালে। তবে মেহতাবের পায়ে লেগে যাওয়ার ফলে তার আত্মঘাতী গোল দেওয়া হল। দীপকের জায়গায় লেনী এবং লিষ্টনের জাগায় আশিককে নামালেন এটিকে মোহনবাগান কোচ। এই সময় সবুজ মেরুনের চাপ ছিল বেশি। একাধিক কর্নার পেয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি তারা।
পাল্টা সুযোগ পেলে আক্রমণ তুলে আনছিল মুম্বই। ৭১ মিনিটে আবার এগিয়ে গেল মুম্বই। জহুর পাস থেকে গোল করে গেলেন গ্রিফিথ। তবে গোলটার জন্য বাগান গোলরক্ষক বিশালের ভুল সিদ্ধান্ত দায়ী। দু মিনিটের মধ্যে মাথা গরম করে লাল কার্ড দেখলেন সবুজ মেরুনের লনি। এরপর ম্যাক হিউ এবং কিয়ানকে নিয়ে আসে মোহনবাগান।
নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দিমিত্রির ফ্রিকিক থেকে গোল করে ২-২ করে দেন আইরিশ ফুটবলারটি। একদম শেষ দিকে আশিকের ক্রস থেকে দিমিত্রির হেড পোস্টে লেখা প্রতিহত হয়। মুম্বইয়ের নগুয়েরার শট বাড়ি লেগে বেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন- শাকিবের দলের স্বপ্ন শেষ! বিশ্বকাপ থেকে এবার কত টাকা পেল বাংলাদেশ!
মনে রাখার মত একটি ম্যাচ দেখল ভারতীয় ফুটবল প্রেমীরা। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি না ছাড়া, মারপিট, লাল কার্ড এবং অসংখ্য গোল মিস। তবে যেভাবে একজন কম নিয়েও ম্যাচটা থেকে পয়েন্ট নিয়ে এল এটিকে মোহনবাগান তার প্রশংসা করতেই হয়। আপাতত পাঁচ নম্বরের রইল তারা। মুম্বই রইল তিন নম্বরে।