মনজুর বলছেন, শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হলে কতটা কষ্ট হয় তা আমি জানি। আমার আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তাই বেশিরভাগ মানুষের থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম নিচ্ছি। কিন্তু আমি চাই এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকতে। আমি একটা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতাম। করোনার জন্য কাজ হারিয়েছি। এখন এই গাড়ি চালাই। আমার ফোন নম্বর অনেক জায়গায় দেওয়া রয়েছে। করোনা রোগীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিলের প্রচুর ফোন আসে। সারাদিন তাদের কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিই। অনেক মানুষকে খাবার ও অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসও পৌঁছে দিচ্ছি। এখন অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য সব থেকে বেশি ফোন আসে। কত মানুষ অক্সিজেনের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। তাদের সাহায্য করতে পারলে ভাল লাগে।
advertisement
প্রতি মাসে তাঁর নিজের জন্য ওষুধের খরচ প্রায় ছ হাজার টাকা। তার উপর তিন সন্তান ও স্ত্রীর মুথে দুবেলা খাবার তুলে দেওয়ার দায়িত্বও তাঁর উপর। এত দায়িত্ব সামলেও মনজুর অসুস্থ মানুষদের পাশে থাকতে চান। করোনার এই দুঃসময় কোনওভাবেই বাড়িতে বসে থাকতে রাজি নন তিনি। দেশে এখন অক্সিজেনের ঘাটতি মেটানোই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই সময় মনজুরদের মতো মানুষদের প্রয়োজন আরও বেশি। যাঁরা অক্সিজেনের মূল্য অন্য অনেকের থেকে অনেকটাই বেশি বুঝবেন।