অফিসার হিমান্দু বিকাশ বড়ুয়া বলেছেন, 'প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা চিহ্নিত করে প্রথমে শূকর নিধন করা হয়েছে। নিয়ম মেনে মেরে শূকরগুলিকে মাটিতে পুঁতেও দেওয়া হয়েছে। গোটা এলাকাকেও জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।' বিশেষজ্ঞরা আশ্বাস দিয়েছেন, এই ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমণ হতে পারে না। তবে শূকরদের মধ্যে ব্যাপক হারে ছড়ায় আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার।
আরও পড়ুন: ICSE দশম শ্রেণির ফলাফল আজ, কোথায় কখন রেজাল্ট দেখা যাবে, জানুন
advertisement
ফলে নিধন ছাড়া আরও কোনও উপায় থাকে না। গত মাসে মিজোরামেও ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার। এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই ওই রাজ্যে এই ভাইরাসবাহিত রোগ দেখা দেয়। এর জেরে অন্তত পাঁচ হাজার শূকরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। রাজ্য পশুপালন দফতরের তরফে জানানো হয়, অন্তত ৪৮৪৮ টি শূকরের মৃত্যু হয়েছে। পরে প্রায় ৪০৭৭টি শূকরকে নিধন করা হয়।
আরও পড়ুন: অসহায় মামা-মামির সম্পত্তি হাতিয়ে অকথ্য অত্যাচার, পটাশপুরের ঘটনায় ঘেন্না ধরে যাবে
কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। শূকর নিধন ও ভাইরাসের কারণে মৃত পশুদের পালককে ৫০ শতাংশ টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে। আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু প্রথম ধরা পড়েছিল দক্ষিণ মিজোরামের লুঙ্গলেই জেলার লাঙ্গসেন গ্রামে। এটি বাংলাদেশের সীমান্তদের একেবারেই কাছে। গত বছরও এখানে এই একই রোগে প্রায় ৩৩ হাজার ৪১৭ শূকর মারা গিয়েছিল।