প্রবল বৃষ্টির জেরে প্লাবিত অসমের বিস্তীর্ণ এলাকা। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি যার খেসারত দিতে হচ্ছে বন্যপ্রাণীদেরও। গোটা উত্তর জুড়েই কার্যত বিপন্ন বন্যপ্রাণ।
এই পরিস্থিতিতে উঁচু জায়গার খোঁজে কাজিরাঙা ছাড়তে শুরু করেছে জন্তুজানোয়াররা। সঙ্কটের এই পরিস্থিতিতে বেড়েছে চোরাশিকারের আশঙ্কাও। চোরাশিকারিদের রুখতে স্পিড বোটে টহলদারি চালাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘মৃত গন্ডারের মধ্যে বেশিরভাগই গন্ডার শাবক ছিল ৷ বন দফতর ৯টি গন্ডার, ৯০টি হরিণ, একটি পায়থনকে উদ্ধার করতে সফল হয়েছে ৷’ তাদের বন্যপ্রাণী পুনর্বাসন ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
advertisement
তবে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যে কেবল বন্যার কারণে বন্যপ্রাণীদের মৃত্যু হয়নি ৷ ১৪টি হরিণের জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে ৷ অন্যদিকে চারটি গন্ডারের বয়সজনিত কারণে মারা গিয়েছে ৷
বন্যা পরিস্থিতিতে বেড়েছে চোরাশিকারের আশঙ্কাও। বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই নিরাপত্তারক্ষীদের একশো আটাত্তরটির মধ্যে একশো আটটি ক্যাম্প প্লাবিত। তাই চোরাশিকারিদের রুখতে স্পিড বোটে টহলদারি চালাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।