TRENDING:

Assam demands separate time zone: অন্য সব রাজ্য থেকে দু' ঘণ্টা এগিয়ে যাবে অসম? জোরালো দাবি তুললেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা

Last Updated:

হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রথম নন, ২০১৪ সালে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এবং ২০১৭ সালে অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেম খান্ডুও একই দাবি তুলেছিলেন (Assam Demands Separate Time Zone)৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#দিল্লি: ঘড়ির হিসেবে ভারতের থেকে আধ ঘণ্টা এগিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh)৷ ঠিক একই ভাবে কি দেশের বাকি অংশের থেকে সময়ের হিসেবে এগিয়ে যাবে অসম (Assam Demands Separate Time Zone)? বহু পুরনো এই দাবিতেই ফের সরব হয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা৷ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দেশের বাকি অংশের ঘডির তুলনায় অসমকে অন্তত দু' ঘণ্টা এগিয়ে রাখা হোক৷
দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় অসমে অনেক আগে সূর্যোদয় হয়৷
দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় অসমে অনেক আগে সূর্যোদয় হয়৷
advertisement

গতকাল দিল্লিতে সীমান্ত বিবাদ মেটাতে অসম এবং মেঘালয়ের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে৷ সেই অনুষ্ঠানেই এই দাবি তুলেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himant Biswa Sarma)৷ যার মূল অর্থ, দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অসমে কাজের সময় শুরু হবে অনেক আগে৷

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট সুখবর, বাড়ছে ডিএ

advertisement

উত্তর পূর্বের রাজ্য হওয়ায় দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় অনেক আগে অসমে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত হয়৷ এই যুক্তি দেখিয়েই অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অসমে পৃথক টাইম জোন মেনে চললে কাজের ক্ষেত্রেই সুবিধে হবে৷

হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, 'আমাদের পৃথক টাইম জোন প্রয়োজন৷ যে সময় আমরা কাজ শুরু করি ততক্ষণে সূর্য মধ্য গগণে চলে যায়৷ ঘড়ির হিসেবে আমাদের অন্তত দু' ঘণ্টা এগিয়ে থাকা উচিত৷ একমাত্র তাহলে রাজ্যে বিদ্যুতের বিপুল সাশ্রয় যেমন সম্ভব, সেরকমই আমাদের শারীরিক দিক থেকেও তা উপকারী হবে৷ এখন যেভাবে চলছে, তাতে বাস্তবিক দিক দিয়ে আমাদের মাঝরাতেও কাজ করতে হয়৷ আলাদা টাইম জোন হলে শরীরের চাহিদা মেনেই আমরা কাজ করতে এবং ঘুমোতে পারব৷'

advertisement

হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রথম নন, ২০১৪ সালে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এবং ২০১৭ সালে অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেম খান্ডুও একই দাবি তুলেছিলেন৷ তাঁদেরও যুক্তি ছিল, উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে সূর্যোদয় হয় তাড়াতাড়ি৷ সেই তুলনায় অফিস কাছারি শুরু হয় অনেক দেরিতে৷ যে কারণে রাজ্যগুলির উৎপাদনশীলতাতেও প্রভাব পড়ে৷

আরও পড়ুন: কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদা মিটিয়েছে বায়ু ও সৌরশক্তি

advertisement

গগৈ দাবি করেছিলেন, দিনের আলোকে আরও বেশি করে কাজে লাগাতেই অসমের জন্য পৃথক টাইম জোন প্রয়োজন৷ ব্রিটিশ শাসনকালের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এই কারণেই গোটা দেশকে তিনটি টাইম জোন- বম্বে, কলকাতা এবং বাগান টাইম জোনে ভাগ করেছিল ব্রিটিশরা৷

ব্রিটিশ শাসনকালে অসমের চা বাগানগুলিতে এই কারণেই দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় অনেক আগে কাজ শুরু করা হত৷ যাকে বলা হত বাগান টাইম৷ সূর্যোদয়ের সময়ের উপরে ভিত্তি করে যা ঠিক করা হত৷ বর্তমানে অসমে সরকারি অফিসগুলিতে সকালে সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ হয়৷

advertisement

ভারতে ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড টাইম বা আইএসটি মেনে চলা হয়৷ যা গ্রিনউইচ মিন টাইমের থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা এগিয়ে৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি, পশ্চিম এবং পূর্ব ভারতের মধ্যে সূর্যোদয়ের সময় প্রায় আড়াই ঘণ্টার ফারাক থাকে৷ তবে যে যুক্তি সামনে আসুক না কেন, অতীতে বার বার এই দাবি উঠলেও দেশের মধ্যে পৃথক টাইম জোন মেনে চলার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷

একটি হিেসব বলছে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অভিন্ন টাইম জোনের কারণে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি ২৫ বছরের সমান উৎপাদনশীলতা হারিয়েছে৷ একশো বছরে গোটা দেশের তুলনায় উৎপাদনশীলতার নিরিখে ৫৪ বছর পিছিয়ে পড়বে উত্তর পূর্ব ভারত৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

তবে ভারতে অভিন্ন টাইম জোন মানা হলেও ব্যতিক্রমী পথে হেঁটেছে বহু দেশ৷ ভারতের প্রতিবেশী এবং উত্তর পূর্বের লাগোয়া বাংলাদেশে নিজেদের ঘড়িকে দেড় ঘণ্টা এগিেয় নিয়েছে৷ রাশিয়া, কানাডা, আমেরিকাতেও একাধিক টাইম জোন রয়েছে৷ ফ্রান্সে ১২টি, আমেরিকায় ১১িট এবং অস্ট্রেলিয়ায় ৮টি টাইম জোন রয়েছে৷

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Assam demands separate time zone: অন্য সব রাজ্য থেকে দু' ঘণ্টা এগিয়ে যাবে অসম? জোরালো দাবি তুললেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল