সোমবার রাজ্য সভায় বাজেটে রেলের বরাদ্দ নিয়ে আলোচনার সময় পশ্চিমবঙ্গের রেল প্রকল্পের প্রসঙ্গ তোলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব৷ তৃণমূল সাংসদদদের দিকে তাকিয়ে রাজ্যের জমি সমস্যার কথা উল্লেখ করেন তিনি৷ রেলমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের জন্য অনেক সহযোগিতা দরকার সদনের। মাত্র ২১ শতাংশ জমি আমাদের হাতে এসেছে। প্রতিটি প্রকল্পে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হচ্ছে। নচেৎ জমি পাওয়া যাচ্ছে না। যেমন নন্দীগ্রামে, কাজ শুরু করতেই আমাদের ৩ বছর সময় লেগে গিয়েছে। একাধিক সমস্যার সঙ্গে যুঝতে হয়েছে আমাদের। আইনশৃঙ্খলার সমস্যাও রয়েছে৷’
advertisement
আরও পড়ুন: ৯ মাস মহাকাশে আটকে, কত টাকা ওভারটাইম পাবেন সুনীতা উইলিয়ামস? বেতন পান কত?
জমি সমস্যার পাশাপশি কলকাতা মেট্রো রেলের প্রসঙ্গও তোলেন রেলমন্ত্রী৷ তিনি দাবি করেছেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে বিস্তৃত হয়েছে কলকাতার মেট্রো পরিষেবা৷ বৈষ্ণব বলেন, ‘১৯৭২ সাল থেকে কলকাতা মেট্রোয় ৪২ বছরে মাত্র ২৮ কিমি মাত্র কাজ হয়েছিল। সেখানে ২০১৪ সাল থেকে ৩৮ কিমি নতুন মেট্রোর লাইন তৈরি হয়ে গিয়েছে৷’
এর পরই নির্মীয়মাণ মেট্রো প্রকল্পগুলিতেও জমি সমস্যার কথা তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী৷ তখনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা ভবানীপুরের কথাও তোলেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার মধ্যে দিয়েই জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো রেল লাইন যাওয়ার কথা৷ রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যারাকপুর থেকে বারাসত মেট্রো প্রকল্পের প্রস্তাবিত পথে প্রচুর জবরদখল রয়েছে৷ ভবানীপুর বিধানসভায় সরকারের জমি চাই। দয়া করে পাইয়ে দিন। কাজ দ্রুত গতিতে এগোবে। ভবানীপুর বিধানসভা কার এলাকা সবাই জানে। মোমিনপুরের কাজের জন্য লাগবে৷’
তৃণমূল সাংসদদের উদ্দেশ্যে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না, আরও সহযোগিতার আবেদন করছি৷ যদিও রেলমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান তৃণমূল সাংসদরা৷ ডেরেক ও ব্রায়েন পাল্টা বক্তব্য রাখতে চাইলেও অনুমতি দেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম তিওয়ারি৷ শেষ পর্যন্ত রেল বাজেট নিয়ে আলোচনায় বিরোধীদের পয়েন্ট অফ অর্ডার তুলতে না দেওয়ায় রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তৃণমূল সাংসদরা৷’