২০২৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন বিলওয়াল ভুট্টো৷ এখনও পাকিস্তানের শাসক জোট সরকারের অংশ ভুট্টো এবং তাঁর দল৷ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল ঘোষণা করতেই রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন বিলওয়াল৷ তিনি বলেন, ‘সিন্ধু নদ আমাদেরই ছিল এবং আমাদেরই থাকবে৷ হয় সিন্ধু দিয়ে জল বইবে না হলে ভারতীয়দের রক্ত৷’
advertisement
আরও পড়ুন: ‘অতিথিদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছি!’ পহেলগাঁও কাণ্ডকে ঢাল করে রাজ্যের তকমা ফেরত চান না ওমর
বিলওয়াল ভুট্টোর এই মন্তব্যের জবাব দিয়েই আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, এই ধরনের শিশুসুলভ কথার কোনও গুরুত্ব নেই৷ উনি কি জানেন না ওঁর মা, দাদুকে কারা মেরেছিল? জঙ্গিরা ওঁর মাকে হত্যা করে৷ ফলে ওঁর অন্তত এই ভাষায় কথা বলা মানায় না৷ আপনি কী বলছেন নিজের কোনও ধারণা আছে? আমেরিকা যতক্ষণ না সাহায্য করে ততক্ষণ আপনাদের দেশ চালানোর ক্ষমতা থাকে না, আবার আমাদের চোখ রাঙাচ্ছেন?’
ক্ষুব্ধ ওয়াইসি আরও বলেন, ‘যখন জঙ্গিরা আপনার মাকে গুলি করে মারে, তখন সেটা সন্ত্রাসবাদ৷ আর সেই জঙ্গিরাই যখন আমাদের মা, বোনেদের গুলি করে, তখন কি সেটা সন্ত্রাস নয়?’
পাকিস্তানের যে নেতারা ভারতকে পরমাণু বোমার ভয় দেখাচ্ছেন, তাঁদেরকেও জবাব দিয়েছেন ওয়াইসি৷ তিনি বলেন, ‘দেশে ঢুকে নিরীহ মানুষের হত্যা করলে কোনও দেশই চুপ করে বসে থাকবে না৷ তা সে যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন৷ যেভাবে আপনারা আমাদের দেশের উপরে আক্রমণ করেছেন, ধর্ম জিজ্ঞেস করে করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তাতে আপনারাই সবথেকে বড় অধার্মিক৷’ পাকিস্তানি নেতাদের জঙ্গি গোষ্ঠী আইসিস-এর সমর্থক বলেও কটাক্ষ করেন ওয়াইসি৷
২০০৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডিতে একটি জনসভা চলাকালীন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে হত্যা করা হয়৷ আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয় পাকিস্তানের দু বারের প্রধানমন্ত্রী এবং বিলওয়াল ভুট্টোর মায়ের৷ ১৯৭৯ সালে ফাঁসিতে ঝোলান হয় বেনজির ভুট্টোর বাবা এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জুলিফকর আলি ভুট্টোকে৷