বিগত কয়েক মাস ধরেই দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়াম নিয়ে অসন্তোষ জমা হচ্ছিল। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত এই স্টেডিয়ামের শরীর চর্চা করেন জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়রা। বিগত কয়েক মাস ধরেই সন্ধ্যে সাতটার পরে তাঁদের স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। কারণ, সন্ধ্যে সাতটার পর পোষ্য সারমেয়কে নিয়ে এই স্টেডিয়ামে (Arvind Kejriwal On Stadium) বেড়াতে আসেন দিল্লির রাজস্ব দফতরের প্রধান সচিব সঞ্জীব খিরওয়ার। সেই কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্টেডিয়াম ছাড়তে হয় খেলোয়ারদের।
advertisement
আরও পড়ুন : সর্ষের তেলের দামে ফের বাম্পার পতন! দেরি না করে আজই কিনুন জলের দরে, জেনে নিন Latest রেট...
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফে সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সাড়ে ছটা থেকে খেলোয়াড়দের বেরিয়ে যাবার বার্তা দিচ্ছে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী। ত্যাগরাজ স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে এই বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবগত নয়। অভিযুক্ত আমলার দাবি, মাঝেমধ্যে তিনি স্টেডিয়ামে বেড়াতে যান তবে তার জন্য খেলোয়াড়দের কোনও সমস্যা হয় না।
ত্যাগরাজ স্টেডিয়ামের প্রশাসক অজিত চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমের জন্য সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণের সময় দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি আমলার সন্ধ্যা ৭টার পর ভ্রমণের বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি। এরপরেই আজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সমস্ত সরকারি স্টেডিয়ামকে খেলোয়াড়দের জন্য় রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন : জিটিএ নিয়ে গুরুংকে পূর্ণ সমর্থন বিজেপির, 'ভোট বিরোধী' সুর চড়ছে পাহাড়ে!
ট্যুইটারে সেকথা জানিয়ে মণীশ সিসোদিয়া লিখেছেন, "সংবাদমাধ্যম মারফৎ আমাদের নজরে এসেছে যে, একটি ক্রীড়া স্টেডিয়াম দ্রুত বন্ধ করে দিয়ে খেলোয়াড়দের সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে, বিশেষত খেলোয়াড়দের মধ্যে যাঁরা বেশি রাত পর্যন্ত কসরৎ করেন সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লি সরকারের সমস্ত স্টেডিয়ামকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে স্টেডিয়ামগুলি খেলোয়াড়রদের জন্য় রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।"