কেজরীওয়াল বলেন, “আমি শুনেছি কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করেছে পঞ্জাব পুলিশ। তবে তার বিস্তারিত তথ্য আমি জানি না। আমি পুলিশের থেকে বিস্তারিত তথ্য জানব। মাদকের বিরুদ্ধে আমি অভিযান শুরু করেছি। কোনও বিশেষ ব্যক্তি সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে মাদকের রমরমা কারবার শেষ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তবে কংগ্রেস বিধায়কের গ্রেফতারি নিয়ে আপ ও কংগ্রেসের মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকাজুর্ন খাড়গে বলেন, ” কেউ যদি আমাদের প্রতি অবিচার করে আমরা তা সহ্য করব না।” তিনি আরও বলেন, ” আমরা বিস্তারিত খোঁজ নেব৷ তবে যদি দেখি অবিচার করা হয়েছে, তাহলে তারা বেশিদিন টিকতে পারবে না।” কংগ্রেসের অভিযোগ, তাদের দলের নেতাদের টার্গেট করছে আপ। ফলে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।
advertisement
এদিকে, দিন কয়েক আগে হরিয়ানায় আইএনএলডি-র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী দেবীলালের জন্মবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিল আপ এবং কংগ্রেস। তবে উপস্থিত ছিল জেডিইউ, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ এবং দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। জেডিইউয়ের নীতীশ কুমার, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, সমাজবাদী পার্টির নেতা শিবপাল যাদবরা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবারের সভায় বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে জনবিরোধী নীতি গ্রহণের অভিযোগ তোলেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। দ্রুত আসন সমঝোতা পর্ব মিটিয়ে ফেলার দাবি তোলেন ডেরেক ও ব্রায়েন। তাঁর দাবি, যত দ্রুত সম্ভব এই পর্বটি সম্পন্ন করতে হবে। রাঘব চাড্ডা এবং পরিণীতি চোপড়ার বিয়ের অনুষ্ঠানেও গিয়েছিলেন ডেরেক। সেখানে আপ নেতা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মানের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হয় তাঁর। আম আদমি পার্টিও দ্রুত আসন সমঝোতা পর্ব মিটিয়ে ফেলার পক্ষে।