ঘোষণা নয়। সপ্তাহের শুরুতে রাজ্যসভায় যেন তোপ পড়ল। সোমবার জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ তকমা প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্তে উত্তাল হল সংসদের উচ্চকক্ষ। ভবিষ্যতের কাশ্মীর গড়ার মোদি-শাহদের প্রস্তাবনা ছিঁড়ে ফেললেন দুই পিডিপি সাংসদ মীর ফৈয়াজ এবং নাজির আহমেদ। তাঁদের প্রতিবাদ অন্যমাত্রা নিল, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে কংগ্রেসের সংসদীয় নেতা গুলাম নবি আজাদের বিতন্ডায়।
advertisement
রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, উপত্যকা থেকে 370 ধারা (Article 370) খারিজ করে সংবিধানকে খুন করল বিজেপি। কপিল সিব্বল প্রশ্ন করেন, ‘একক সিদ্ধান্তে এটা করা হল ৷ জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল ৷ এই নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা হয়নি ৷ একেই কি গণতন্ত্র বলে?’
জম্মু-কাশ্মীর থেকে 370 ধারা বাতিল নিয়ে আড়াআড়ি ভাগ দিল্লির রাজনীতি। এই সিদ্ধান্তে সরকার সমর্থন পেয়েছে, মায়াবতীর বিএসপি, নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি, অরবিন্দ কেজওয়ালের আপ, জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, এআইএডিএমকে, শরিক শিবসেনা, টিআরএস এবং টিডিপি’র। তবে তিন -তালাকের পর এবারও মোদির এনডিএ সরকারকে ধাক্কা দিয়েছে শরিক সংযুক্ত জনতা দল। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধিতায় কংগ্রেস, পিডিপি, সমাজবাদিপার্টি, সিপিএম, তৃণমূল কংগ্রেস এবং ডিএমকে।
রবিবার রাত থেকেই উপত্যকায় গৃহবন্দি রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুলা ও মেহেবুবা মুফতি। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে ঘোষণা পরেই ট্যুইট করেন পি়ডিপি নেত্রী। অভিযোগ, ভারতীয় গণতন্ত্রের কালো দিন। ৩৭০ ধারা বিলোপ অসাংবিধানিক। জম্মু কাশ্মীরকে সন্ত্রস্ত রাখতে চায় কেন্দ্র। ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ায় তা প্রমাণিত। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বেই।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, কাশ্মীর থেকে বিশেষ মযার্দা কেড়ে নেওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে আপের সমর্থন কার্যত চমকে দেওয়ার মতো। এই ইস্যুতে ভোলবদলের জন্য রাজ্য সভায় কেন্দ্রের পাশাপাশি আপকেও একহাত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘তৃণমূল সাংবিধানিক অনৈতিকতার বিরুদ্ধে, পদ্ধতিগত তড়িঘড়ির বিরুদ্ধে তৃণমূল ৷’
এই সিদ্ধান্ত বৈপ্লবিক। সংসদে কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা (Article 370) খারিজের সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে মত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের। নাগপুরের বিবৃতি, উপত্যকার মানুষের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত অনেক আগেই প্রয়োজন ছিল। স্বার্থের রাজনীতি ছেড়ে এবার আসল উন্নয়ন দেখবে দেশ।