রাজ্য নয়, জম্মু ও কাশ্মীর এখন থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।জল্পনা চলছিল কয়েকদিন ধরেই। সোমবার সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বা বিশেষ মর্যাদা খারিজ করল মোদি সরকার। প্রায় সাড়ে পাঁচ দশক পর বিশেষ মর্যাদা হারাল জম্মু - কাশ্মীর। লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যসভায় প্রবল হই-হট্টগোলের মধ্যে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনামা পড়ে শোনান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ জম্মু-কাশ্মীরের পাশাপাশি বদলে যাচ্ছে ভারতের মানচিত্রও ৷
advertisement
৩৭০ ধারা খারিজের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার।
জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ - দু'টি জায়গাতেই লেফটেন্যান্ট গভর্নর
জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা থাকলেও লাদাখে থাকবে না
৩৭০ ধারা খারিজ হওয়ায় ৩৫এ ধারাও বিলুপ্ত হল
৩৭০ ধারা খারিজ হওয়ায় বিশেষ সুবিধা পাবেন না উপত্যকাবাসী
৩৭০ ধারা বিলুপ্তির ঘোষণা হতেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু নকরে কংগ্রেস, পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা
সংবিধান ছিঁড়ে ফেলায় ২ পিডিপি সাংসদকে বের করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান
উত্তেজনা বাড়ায় মার্শাল ডাকা হয়
সংসদ চত্ত্বরেই ধরনা শুরু করে কয়েকটি রাজনৈতিক দল
বিশেষ মর্যাদার দাবি খারিজ করে উপত্যকাবাসীকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে ঠেলে দেওয়া হল। অভিযোগ বিরোধীদের। এই দলে পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেসের পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির মতো দল। আবার শিবসেনা, বিজেডি, বহুজন সমাজ পার্টি, আম-আদমি পার্টি, এআইএডিএমকে - মোদি সরকারের পাশে।৩৭০ ধারা খারিজ হওয়ায় বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে উপত্যকায়। আপাতত নিরাপত্তায় মোড়া জম্মু-কাশ্মীর থেকে নিরাপত্তা উঠলে কী হবে? উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখাটাই এখন চ্যালেঞ্জ মোদি সরকারের।
