জলস্তর বাড়ছে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের। এখনই কমবে না বৃষ্টি, পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে NDRF এর বিশেষ দলকে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সেনার ত্রিশক্তি কর্পস, আসাম রাইফেল-সহ একাধিক ইউনিট কাজ করছে দুর্গতদের উদ্ধারে। এমনকি বায়ুসেনা প্রস্তুত আছে প্রয়োজন হলে এয়ার লিফট করানোর জন্যে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক উত্তর পূর্ব ভারতের সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পাঠানো ও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসার কাজ চলছে দ্রুততার সঙ্গে।
advertisement
মৌসম ভবন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। রয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও। মণিপুরে প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত ইম্ফল। এখনও পর্যন্ত দেড় হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি এবং ভূমিধসের জেরে উত্তর সিকিমে আটকে পড়েছেন ১২০০ পর্যটক। মেঘালয়ে হড়পা বানে বিপর্যস্ত ১০টি জেলা। ত্রিপুরাতেও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। অরুণাচল প্রদেশে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
অসমের ১৯টি জেলার ৭৬৪টি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শ্রীভূমি জেলায় ৮৩ হাজার, নগাঁওতে ৬২ হাজার, লখিমপুর জেলায় ৪৬ হাজার এবং কাছাড় জেলায় লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৫৫টি ত্রাণশিবিরে ৫৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পাশাপাশি উত্তর সিকিমের অবস্থাও ভয়াবহ। তিস্তা সহ একাধিক পাহাড়ি নদী ফুঁসছে। জারি হয়েছে সতর্কতা। জলের তোড়ে ফিদাংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু, মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তায় সমস্যা। লাচুংয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ধাপে ধাপে তাঁদের গ্যাংটকে আনা হচ্ছে বলে খবর।