আরও পড়ুন- টিউশন পড়তে বেরিয়ে আর ফিরল না ছেলে! ঝোপের মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মিলল দেহ!
নির্যাতিতা জানান, ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে। তিনি বলেন, “আমাকে ভুল ভাবে জেলে ঢোকানো হয়েছিল।” ঠিক কী ঘটেছিল? অভিযোগকারিনী জানান, “আমি জানি না কী হয়েছিল, তারা তাকে লকআপে রেখেছিল। যখন আমি জোর গলায় বললাম, যে তারা একজন সেনা অফিসারকে হেফাজতে রাখতে পারে না কারণ এটি বেআইনি, তখন দুই মহিলা অফিসার আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে শুরু করে। আমি তাদের থামতে অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু তারা তা করেনি!”
advertisement
আরও পড়ুন- ‘পুজোয় শপিং ফেস্টিভ্যাল করুন’ রাজ্যের অর্থনীতিকে সচল রাখার বার্তা মমতার!
মহিলা আরও জানান, এক মহিলা পুলিশ তাঁকে করিডোর দিয়ে টেনে নিয়ে যায়। অফিসারটি যখন তার ঘাড় ধরতে চেষ্টা করে, তখন তিনি পাল্টা লড়াই করে রুখে দাঁড়ান। হাত কামড়ে ধরেন সেই পুলিশের। এর পর পুলিশকর্মীরা হাত-পা বেঁধে তাঁকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। মহিলার কথায়, “কিছুক্ষণ পর, একজন পুরুষ অফিসার দরজা খুলে আমার স্তনে কয়েকবার লাথি মেরে চলে যায়”। এর পরও অশ্লীলতার শেষ নেই, অভিযোগকারিনীর বয়ান অনুযায়ী, “তার পর আইআইসি এল, সে আমার প্যান্ট নামিয়ে দিল এবং নিজেরটাও। গোপনাঙ্গ দেখিয়ে সে আমাকে জিজ্ঞাসা করল কতক্ষণ চুপ করে থাকতে চাই…”
ঘটনা চাউর হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেডি সভাপতি নবীন পট্টনায়ক। তাঁর কথায় “অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা!” শুক্রবার একটি আদালত-তত্ত্বাবধানে এসআইটি তদন্ত এবং ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের ডাক দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন পট্টনায়ক। এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “ভরতপুর থানায় একজন সেনা মেজর মহিলার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা মর্মান্তিক এবং অবিশ্বাস্য। পুলিশের এমন আচরণ দেশের বিবেক নিয়ে প্রশ্ন তুলছে!”