কিন্তু টানা ১৯ ঘণ্টার ধকলের পরেও দিল্লি গিয়ে প্রথম রাতে দু' চোখের পাতা এক করতে পারলেন না অনুব্রত মণ্ডল। ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সারারাত প্রায় জেগেই কাটিয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। এমন কি, দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরের লক আপের ভিতরে তাঁকে পায়চারিও করতে দেখা গিয়েছে। তবে এ দিন সকালে চা বিস্কুট খেয়েছেন তিনি৷ খেয়েছেন জলখাবারও৷
advertisement
আরও পড়ুন: তিন দিনের ইডি হেফাজতে অনুব্রত, দিল্লিতে রাত দেড়টা পর্যন্ত বিচারকের বাড়িতে চলল শুনানি
মঙ্গলবার গভীর রাতের শুনানিতে অনুব্রত মণ্ডলকে তিন দিনের জন্য ইডি হেফজাতে পাঠিয়েছেন বিচারক রাকেশ কুমার৷ আজ এমনিতে দিল্লিতে হোলির ছুটি৷ ফলে শুনসান ইডি-র সদর দফতরও৷ কিন্তু শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করার জন্যই ইডি দফতরে পৌঁছেছেন এই মামলার তদন্তকারী অফিসার পঙ্কজ কুমার এবং তাঁর দুই সহযোগী৷
আরও পড়ুন: তিন দিনের ইডি হেফাজতে অনুব্রত, দিল্লিতে রাত দেড়টা পর্যন্ত বিচারকের বাড়িতে চলল শুনানি
সূত্রের খবর, আজ বেলা বারোটার পর ইডি সদর দফতরেই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা শুরু হবে৷ তার আগে ফের একবার মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে৷ ইডি হেফাজতে থাকাকালীন প্রতিদিনই অনুব্রতর শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷ তার পর ইডি দফতরেই তাঁকে টানা জেরা শুরু হবে৷
দিল্লিতে নিয়ে জেরা করলে অনুব্রতর উপরে মনস্তাত্বিক চাপ অনেকটাই বাড়ানো যাবে বলেই মত ছিল ইডি কর্তাদের৷ এবার নিজের এবং পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস জানতে রাজধানীতে বসেই অনুব্রতর উপরে চাপ বাড়াবে ইডি৷ দিল্লির মাটিতে অনুব্রত কীভাবে ইডি-কে সামলান, সেটাই এখন দেখার৷ গরু পাচারের বিপুল পরিমাণ টাকা আর কার কার কাছে গিয়েছে, তাও অনুব্রতর থেকে জানা লক্ষ্য ইডি কর্তাদের৷