দু জনেই তিহাড় জেলে থাকলেও অনুব্রত এবং সুকন্যার মুখোমুখি সাক্ষাত হয় না৷ তবে আদালতের নির্দেশে সপ্তাহে একবার আধ ঘণ্টার জন্য বাবা-মেয়ের সাক্ষাৎ হয়৷ সুকন্যার গ্রেফতারির পর গত শনিবার দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হন দু জন৷
আরও পড়ুন: দিনভর ব্যস্ততা, তবু প্রতিদিন এই জিনিসগুলি ভোলেন না মমতা! জানেন কী কী
advertisement
সূত্রের খবর, মেয়েকে সামনে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অনুব্রত৷ মেয়েকে তিনি বলেন. ইডি-র তলব পেয়ে দিল্লিতে যাওয়া উচিত হয়নি তাঁর৷ জবাবে সুকন্যা জানান, ইডি যেভাবে বার বার তলব করছিল তাতে না এসে উপায় ছিল না৷ প্রসঙ্গত, ইডি সদর দফতরে হাজিরা দেওয়ার পরই গরু পাচার মামলায় গত মাসে সুকন্যাকে গ্রেফতার করেছিল ইডি৷
আরও পড়ুন: বাবার মতো পরিস্থিতি মেয়েরও, সুকন্যার জন্য এল আরও খারাপ সময়! দুশ্চিন্তায় অনুব্রতও
সুকন্যা অনুব্রতর কাছে আরও অভিযোগ করেন, গ্রেফতারির আগে পরে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বা কথা বলতে চেয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু সেই অনুমতি দেয়নি ইডি৷
শেষ পর্যন্ত অবশ্য বাবা-মেয়ে দু জনেই দু জনকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন৷ অনুব্রত সুকন্যাকে বোঝান, আইনজীবীরা চেষ্টা করছেন, খুব শিগগিরই জামিন মিলবে৷ অন্যদিকে মেয়ে আবার বাবাকে নিয়ম করে সব ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷
প্রসঙ্গত এর আগেও আদালতে ইডি অফিসারদের দেখে অনুব্রত বলেছিলেন, ‘মেয়েটাকেও গ্রেফতার করলেন? বিবেক বলে কিছু নেই?’