খাওয়াও ঠিক করে হচ্ছে না। একটু ডাল বা তরকারি দিয়ে একটা বা দেড়টা রুটি খাচ্ছেন কোনওমতে। জেল হাসপাতালের বাইরে ডাক্তার দেখানোর অনুরোধও করা হয়। অনুব্রতর আর্জি মেনেই হাসপাতালে তাঁর বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়।
আরও দেখুন
তিহাড় জেলে মেয়ের সঙ্গে দেখা হয় অনুব্রত মণ্ডলের। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কথা হয় দুজনের। মেয়ের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অনুব্রত! মেয়েকে বলেন, “তোর দিল্লি আসা উচিত হয়নি৷” উত্তরে সুকন্যা জানান, “বারবার নোটিশ পাঠাচ্ছিল কী করব?” গরু পাচার মামলায় জামিনের জন্য ইডির দেওয়া চার্জেশিটকেই হাতিয়ার করেন সুকন্যা মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় সুকন্যা মণ্ডলের ব্যাঙ্কে জমা হওয়া কোটি কোটি টাকা গরু পাচারের টাকা নয় বলে দাবি সুকন্যার। কারণ, ইডির চার্জশিটে কোথাও দেখানো হয়নি যে ব্যাঙ্কে জমা হওয়া ওই টাকা গরু পাচারের।
advertisement
আরও দেখুন
কোথা থেকে এসেছিল ওই টাকা? কে-ই বা দিয়েছিল? সুকন্যার আইনজীবীর দাবি, সেই চেন দেখাতে পারেনি ইডি। এছাড়াও, জামিনের আবেদনে জানানো হয়, সুকন্যা মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা খারাপ। আগামী ২৬ মে নয়াদিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে জামিনের শুনানি।
মেয়েকে এদিন আশ্বাসও দেন অনুব্রত৷ বলেন, ‘‘চিন্তা করিস না, সব ঠিক হয়ে যাবে।’’ সুকন্যা তাঁর বাবাকে এ-ও জানান যে, গ্রেফতারির আগে তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন৷ এমনকী, হেফাজতে থাকাকালীনও বাবার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন সুকন্যা৷ যদিও তাঁর সেই আর্জি মানা হয়নি৷ বাবার-শরীর স্বাস্থ্যেরও খোঁজ নেন সুকন্যা। কেষ্টকে সময় মতো ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেন মেয়ে৷ মেয়ে সুকন্যাকে দেখেই আবেগ ধরে রাখতে পারেননি কেষ্ট। হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন।
RAJIB CHAKRABORTY